প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে ফাঁসাত তারা

প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে ফাঁসাত তারা

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

নওগাঁয় প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় দাওয়াত দিয়ে নানাভাবে বেকায়দায় ফেলে চাঁদা আদায় চক্রের ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় নওগাঁ সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া এই তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলাধীন সরস্বতীপুর পুকুরপাড়া গ্রামের মো. বুলুর কন্যা বুলবুলি (২৩), নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলাধীন মধু গুড়নই গ্রামের ইউসুফ শেখ-এর ছেলে মো. বাহাদুর শেখ (৩৮), তার স্ত্রী মোছা. মুক্তা (৩৮), চকবাড়িয়া বাউস্থাপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে মো. ইদ্রিস আলী (৪৫), কাশিয়াপাড়া গ্রামের মো. আজিজুল হাকিমের ছেলে মো. আল আমিন (২৫), নবারের তাম্বু গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. মুন্নি বিবি (২৮) এবং সদর উপজেলার বাচাড়ীগ্রাম সোনার পাড়ার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. এনামুল হককে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার সূত্র ধরে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লায় মৃত হাফেজ উদ্দিন কবিরাজের ছেলে টিটুর বাসায় ভাড়া থেকে আসামি মোছা. বুলবুলি বেগমের (২৩) মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনকে মোবাইল ফোনে কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে বাসায় নিয়ে এসে আটক এবং বিবস্ত্র করে সাংবাদিক পরিচয়ে ছবি তোলে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে আত্রাই থানার বান্দাইখাড়া বাজার এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো. নাসির উদ্দিন ওই বাড়িতে ডেকে নেয় এবং ঘরে আটক করে। তাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে এবং হত্যার হুমকী প্রদান করে।

তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আসামিরা ওই নাসির উদ্দিনকে দিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।

বিষয়টি অবগত হয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান মিয়ার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাকিবুল আকতার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. সোহরাওয়ার্দী ও অফিার্স ইনচার্জ তদন্ত মু. ফয়সাল বিন আহসানসহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন: হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী আর নেই

গর্ভাবস্থায় যেসব ফল ঝুঁকিপূর্ণ

সাইকেল চালিয়ে হাইকোর্টে বিচারপতি

অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, তাহসিন ইসলাম খানের অভিযোগ অনুযায়ী তার চুরি যাওয়া একটি ল্যাপটপ এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং এর সাথে জড়িত আসামি জেলার মান্দা উপজেলার জামদই গ্রামের মৃত আজির মন্ডলের ছেলে মো. শরিফুল ইসলামকে (২২)গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর