নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত অন্তত ২ জন
আজ থেকে টিকা নিচ্ছে মার্কিনিরা
অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা ছাড়তে শুরু করেছে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকা। আজ সোমবার থেকে সেখানে এই টিকার প্রয়োগ শুরু হবে। আপাতত এই টিকা দেওয়া হবে সংকটাপূর্ণ কয়েক লাখ রোগীকে; তারপর পাবে অন্যরা।
করোনা মহামারিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। কভিড-১৯-এ সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে সেখানে। এরই মধ্যে সেখানে মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে; শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখের বেশি। এর মধ্যে গত দুই সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের।
এ অবস্থায় টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে মার্কিনদের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রই ষষ্ঠ দেশ, যারা মহামারি মোকাবেলায় ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিল।
গতকাল রবিবার থেকেই ফাইজারের মিশিগান কারখানা থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা পৌঁছানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিশেষ বক্সে করে এসব টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে, যেখানে শুকনো বরফের মাধ্যমে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তামপাত্রা নিশ্চিত করা হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ফাইজারের এই টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এবং গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
টিকা সরবরাহের প্রক্রিয়া পরিচালনা করছেন জেনারেল গুস পারনা। তিনি বলেন, ‘নিরাপদে এসব টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী।’ তিনি জানান, আগামী বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা সরবরাহের কার্যক্রম চলবে। প্রথম ধাপে ৩০ লাখ মানুষের বাহুতে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সুপারিশ করেছে, স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের যেন সবার আগে এই টিকা দেওয়া হয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শেষমেশ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় প্রশাসনের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গত ২ ডিসেম্বর ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। এরপর ৮ ডিসেম্বর থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয় সেখানে।
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে আরো অনেক দেশ। প্রথম ঢেউ মোকাবেলায় সাফল্য দেখানো দক্ষিণ কোরিয়ায় দৈনিক সংক্রমণের হার ক্রমেই বাড়ছে। এর মধ্যে গত শনিবার দেশটিতে শনাক্ত হয় ৯৫০ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে রাজধানী সিউল ও আশপাশের শহরগুলোতে। একই অবস্থা ইউরোপের দেশ জার্মানিতেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেক স্কুল, দোকানপাট, সেলুন ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল।
আরও পড়ুন: কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু
দিনাজপুরে আবারো বেড়েছে চালের দাম
বৈশ্বিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে শনাক্ত কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা সাত কোটি ২২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১৬ লাখ ১৫ হাজারের বেশি। সেরে ওঠার সংখ্যাও কম নয়; পাঁচ কোটির বেশি। চিকিৎসাধীন আছে প্রায় দুই কোটি মানুষ। তাদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ রয়েছে এক কোটি ৯৮ লাখ মানুষের (৯৯.৪ শতাংশ)। বাকিদের (দশমিক ৬ শতাংশ) অবস্থা আশঙ্কাজনক। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ৩ শতাংশ।
news24bd.tv তৌহিদ
পরবর্তী খবর
মন্তব্য