নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত অন্তত ২ জন
স্বামীর সব হত্যাকারীর বিচার দেখে যেতে চান তিনি
অন্তরা বিশ্বাস
স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে পেরেছেন মাত্র ২ বছর ১০ মাস। সেটাই জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। দুই সন্তানকে নিয়ে পান্না কায়সারের জীবনে এসেছে অনেক চড়াই উৎরাই। বহু চেষ্টা করেও বুদ্ধিজীবী স্বামী শহীদুল্লাহ কায়সারের সব হত্যাকারীর শাস্তি নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
একাত্তরের এই শহীদ জায়ার অন্যতম চাওয়া তার স্বামীর হত্যাকারীদের শাস্তি। ১৯৬৯, দেশজুড়ে চলছে গণঅভ্যূত্থান। কারফিউয়ের এক দিনে পান্না কায়সারের বিয়ে হয় সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারে সাথে। তার সাথেই অল্প অল্প করে দেশের রাজনীতি, সমসাময়িক পরিস্থিতি দেখা।
শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সার এই দুই সন্তানের জন্ম হয় মুক্তিযুদ্ধের আগেই। একাত্তরের ২৫শে মার্চের ঘটনায় জগন্নাথ হলে পরে থাকা অগনিত লাশের স্তূপ দেখেছেন পান্না কায়সার। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখতে পান স্বামী শহিদুল্লঅহ কায়সার কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করছেন।
আরও পড়ুন:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে শোকজ
শওকত মাহমুদ কর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন: রিজভী
১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১। পান্না কায়সারের বিয়ের তখন মাত্র ২ বছর ১০ মাস পার হয়েছে। সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে যায় বৃদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারকে।
আর ফেরেননি শহীদুল্লাহ কায়সার। দেবর জহির রায়হান পান্না কায়সারকে নিয়ে গিয়েছিলেন রায়ের বাজার বদ্ধভূমিতে। লাশের স্তূপেও পাননি শহীদুল্লাহ কায়সারকে। পরে ভাইকে খুঁজতে গিয়ে জহির রায়হানও নিখোঁজ হন।
পান্না কায়সারের ক্ষোভ শহীদুল্লাহ কায়সারের হত্যাকারিদের কেউ কেউ এখনো পালিয়ে আছে বিচার ও শাস্তির আওতার বাইরে। একাত্তরের সকল ঘাতকেরেই শাস্তি হবে এই প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছেন পান্না কায়সার।
news24bd.tv নাজিম
পরবর্তী খবর
মন্তব্য