৭ মিনিটে ১২৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি, রহস্যের জট খুলল ৮ মাস পর

৭ মিনিটে ১২৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি, রহস্যের জট খুলল ৮ মাস পর

রাহাত খান, বরিশাল

দীর্ঘ ৮ মাস পর খুলল বরিশালে মাত্র ৭ মিনিটে একটি জুয়েলারি দোকানের ১২৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরির রহস্যের জট। জুয়েলারি দোকানটির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বরিশাল, ঢাকা, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় টানা ৯ দিন অভিযান চালিয়ে চুরির সাথে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কারের আশিংক উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ২০ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম কাঠপট্টি এলাকায় ‘আশ্রাফ এন্ড সন্স জুয়েলার্স’ নামের একটি জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনাটি ঘটে।

দোকান বন্ধ করে দুপুরের খাবার খেতে বাসায় যান মালিক বাচ্চু মিয়া। তাকে অনুসরণ করে সংঘবদ্ধ চক্র ব্যস্ততম রাস্তার পাশে লুঙ্গি এবং বিছানার চাদর মেলে ধরে সাটার ও কলাপসিবল গেটের তালা কেটে ভেতরে ঢুকে মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ১২৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। চোর চক্র এতটাই দুর্ধর্ষ যে ওইদিন চুরির সময় মাত্র দেড় হাত দূরে পাশের জুয়েলারি মালিকও টের পায়নি।

এ ঘটনায় ওই দিনই জুয়েলারি দোকানের মালিক অজ্ঞাতদের আসামি করে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ওই জুয়েলারির সামনে এবং ভেতরে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের চিহ্নিত করে। তবে এদের মধ্যে একজন ছাড়া অন্যান্যরা বরিশালের বাইরের বাসিন্দা হওয়ায় তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে তেমন অগ্রগতি হচ্ছিলো না। এ অবস্থায় বরিশালের মো. সুমন নামে এক সন্দেহভাজন যুবককে আটক করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুরো ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। সে অনুযায়ী ঢাকা, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম এলাকায় টানা ৯দিন অভিযান চালিয়ে এই চক্রের আরও ৮ সদস্য এবং চোরাই মাল কেনার অপরাধে চট্টগ্রামের এক জুয়েলারি মালিককে পুলিশ আটক করে। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ১১টি আংটি এবং একটি নেকলেস উদ্ধার করে পুলিশ।  


কোনাবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ৩৪টি কক্ষ পুড়ে ছাই

ভাস্কর্য ভাঙার মূল পরিকল্পনাকারী যুবলীগ নেতাকে বহিষ্কার

যে কারণে বিয়ের কয়েক ঘন্টা পরেই বিচ্ছেদ!

এবার কে হবেন হেফাজত মহাসচিব! আলোচনায় মামুনুলও

দুর্গম পাহাড় থেকে যেভাবে উদ্ধার হল ৪ যুবক


৮ মাস পর আংশিক চোরাই মাল উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করায় খুশি জুয়েলারি দোকানের মালিক মো. বাচ্চু মিয়া। তবে চুরি যাওয়া পুরো স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারসহ ওই চক্রের অন্যান্য সদস্যেদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।  

স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বলছেন, এই চক্রের সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে না পারলে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারবেন না তারা।  

এদিকে, দেরিতে হলেও জুয়েলারি চুরির রহস্য উদঘাটন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করায় তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। এ ক্ষেত্রে সিটি ক্যামেরার ফুটেজ গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে বলে দাবি তারা। নগরীকে নিরাপদ রাখতে বেশি বেশি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।   

news24bd.tv নাজিম