বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলনে নতুন সিদ্ধান্ত

বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলনে নতুন সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক

না জানিয়ে সীমান্তের দেড়’শ গজের মধ্যে কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ না করার বিষয়ে পারস্পরিক সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত।

ভারতের গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫১তম সীমান্ত সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এ সীমান্ত সম্মেলন চলবে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: বনানীতে এম এ হাশেমের দাফন সম্পন্ন

মামার ‘যৌন হয়রানিতে’ অসুস্থ ভাগ্নি হাসপাতালে

করোনায় সিএমপি কনস্টেবলের মৃত্যু

বৈঠকে উভয়পক্ষ বিদ্যমান পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট ও আস্থা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হয়েছে।

উভয়পক্ষই আগে অবগত করা ছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ না করার বিষয়ে পারস্পরিক সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। উভয়পক্ষই বন্ধ থাকা অন্য উন্নয়নমূলক কাজ যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের ব্যাপারে রাজি হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল ভারতের গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে।

ওই সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।

সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর মাধ্যমে উভয়দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে এই সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিজিবি ও বিএসএফের সমন্বিত যৌথ কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশের পাশাপাশি, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) কার্যকরভাবে বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রাকেশ আস্থানা।

সীমান্ত সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা, আহত, মারধরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সর্বদা দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের প্রশংসা করে এবং তারা প্রত্যাশা করে যে, বিজিবি এবং বিএসএফ সীমান্ত হত্যার ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখতে এবং অপরাধীদের হত্যার পরিবর্তে নিজ নিজ দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।

বিজিবি মহাপরিচালকের এমন আহ্বানে সীমান্তে হত্যার ঘটনা অদূর ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন বিএসএফ মহাপরিচালক। একই সঙ্গে সীমান্তে মানবাধিকার রক্ষা ও সহিংসতা রোধে যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অধিক কার্যকরী উদ্যোগ হিসেবে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে রাত্রিকালীন যৌথ টহল পরিচালনার ব্যাপারে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।

news24bd.tv তৌহিদ