সীমান্তে জীবনের দু:খগাথা প্রতিদিন বিষন্ন করে মানুষকে

মৌ খন্দকার

রাজশাহীর সীমান্তবর্তী একমাত্র গ্রাম চর খানপুর। পদ্মার নদী ভাঙ্গনে খানপুর গ্রামের বেশির ভাগ অংশ বিলীন হয়ে গেছে। সীমান্তের প্রত্যন্ত গ্রামে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় একমাত্র ভরসা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

তবে সেই সীমান্তে জীবনের দু:খগাথা প্রতিদিন বিষন্ন করে মানুষকে।

কখনো কখনো সন্তান ধারণ করা মেয়েকে মানচিত্রের জটিল সমীকারণে চিকিৎসার অভাবে মরে যেতে দেখতে হয় অসহায় বাবাকে। গ্রামের মেয়েদের জীবন তাই ভিন্ন কষ্টে যাপিত হয়।

মরিয়ম জানান, কয়েক বছর আগে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে তার বাবা মা আদরের মেয়েটি। কারণ প্রসব বেদনা ওঠার পর সঠিক সময়ে গ্রাম থেকে রাজশাহী শহরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি গর্ভবতী ওই নারীকে।

 

সেদিন চিৎকার করে কেঁদে ছিলেন এক বাবা, কেঁদেছেন মারা যাওয়া মেয়েটির স্বজনেরা। তবে সেই কান্নার পদ্মার উজানেই হারিয়ে গেছে, পৌঁছেনি কারও কাছে।


পুলিশকে পরিচ্ছন্ন করতে চাই: আইজিপি

নিজ ঘরে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপনের আহ্বান র‍্যাবের 


তবুও জীবন চলছে। এই গ্রামের বাসিন্দারা গরু, মহিষ, ভেড়া, ছাগল লালনপালন ও শাকসবজি আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবুও অনতিদূরের খিদিরপুর এখন শুধুই ধু ধু বালু চর।

গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এখান থেকে রাজশাহী শহরে যেতে ভারতের পদ্মার একাংশের ৪০০ মিটার দিয়ে যেতে হয়। ফলে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ তা সহজে ব্যবহার করতে দিতে চায় না।

খিদিরপুরে বিজিবি ক্যাম্প এখন চরখানপুরে অবস্থিত। তবে বিজির কর্মকর্তারা জানান, আগামী বছর বর্ষায় এই ক্যাম্প থাকবে কিনা এই বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত।

রাজশাহী বিজিবির অধিনায়ক বলেন, সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা যেনো সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য বাড়ানো হয়েছে বিজিবির টহল।

news24bd.tv নাজিম