দুর্নীতি নিয়ে সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের বক্তব্য ভাল লেগেছে

দুর্নীতি নিয়ে সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের বক্তব্য ভাল লেগেছে

শরিফুল হাসান

প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে মন্তব্য করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন যে বক্তব্য দিয়েছেন আমার তা ভালো লেগেছে।  

কর্মকর্তাদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অদক্ষতা, বিশৃঙ্খলা, ফেসবুকে শো অফসহ নানা বিষয়ে তিনি অভিভাবকসুলভ ভঙ্গিতে যে কথাগুলো বলেছেন আমার মনে হয় তরূণ কর্মকর্তারা সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

জনপ্রশাসন সচিব একটি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করে এক কর্মকর্তা ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, যেন তার আগে কেউ ভূমি অফিস পরিদর্শন করেননি। আসলে কথা ঠিক।

‌ প্রায়ই নানা দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের এমন সব পোস্ট দেখি যে ভীষণ হাসি পায়। তার আগে বোধ হয় এসব দায়িত্ব কেউ পালন করেননি।

জনপ্রশাসন সচিব বলেছেন, একজন কর্মকর্তা ফেসবুকে লিখেছেন, ওমুক ব্যাচের কর্মকর্তা এসিল্যান্ড হিসেবে এতদিন ছিলেন। আমাদের কেন এক বছর পরে সরানো হবে? এটা আমরা বুঝি কেন তিনি ফেসবুকে দিয়েছেন।

কারণ তার খাওয়াটি আসলে কম হয়েছে। আরো দুই বছর যদি খেতে পারতেন তাহলে উনার পেটটি ভরত।

আমি জানি না এই ভাষণে পরিস্থিতি কতটা বদলাবে। তবে আমি বলব সচিব মহোদয়ের সাহসী উচ্চারণ। আর আমি এখনও বিশ্বাস করি আমাদের দেশের বেশিরভাগ কর্মকর্তাই ভালো। তারা যদি ভালো অভিভাবক পায় নিশ্চয়ই তারা আরও ভালো করবে। শেখ ইউসুফ হারুনকে আমার তেমনি একজন অভিভাবক মনে হয়েছে। আশা করছি প্রশাসনের কর্মকর্তারা তার কথাগুলো অনুসরন করবেন।


আরও পড়ুন: তা হলে এটি পর্নোগ্রাফি হলো কিভাবে?


শুধু প্রশাসন নয়, সরকারি সব দপ্তরেই যদি এমন অভিভাবক সুলভ কর্মকর্তা দরকার যারা ভুলগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবেন। বাকি সবাই সেগুলো মেনে চললে  আমার মনে হয় ভাল হত।

সরকারি কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণটিও শুনে দেখতে পারেন। আমার মনে হয় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এই কথাগুলো পালনের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুকে সবচেয়ে বেশি সম্মান প্রদর্শন করতে পারেন সরকারি কর্মকর্তারা।

আরেকটি বিষয়। মাঝেমধ্যেই দেখি সরকারি চাকরি করেন না এমন অনেকেই আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের হেয় করে নানান কথাবার্তা বলেন। আমি মনে করি এটা অনুচিত। কারণ সব পেশাতেই ভালো-মন্দ রয়েছে। সবাই মিলেই দেশটা গড়তে হবে।

news24bd.tv আহমেদ