মার্কিন নির্বাচন: কী ঘটতে যাচ্ছে ৬ জানুয়ারি?

মার্কিন নির্বাচন: কী ঘটতে যাচ্ছে ৬ জানুয়ারি?

অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকানরা হেরেছে অনেক আগেই। তবুও আগামি ৬ জানুয়ারির দিকে তাকিয়ে ছিলেন তারা। এদিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সত্যায়ত করা হবে।

তবে এরই মধ্যে রিপাবলিকান প্রতিনিধিরা বুঝে গেছেন প্রতিনিধি পরিষদে বাধা দিয়ে ঠেকানোর মতো কোনো সুযোগ তাদের হাতে নেই।

তাই এবার তারা প্রতিনিধি পরিষদের এই বিতর্ক এড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাদের ধারণা প্রতিনিধি পরিষদে এই ইলেকটোরাল কলেজ ভোটকে স্বীকৃতি দেয়া হলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেয়ার জন্য তাদের চলমান লড়াই ব্যার্থ হয়ে যাবে। তখন এ নিয়ে রাজনীতি করা তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

ইতিমধ্যে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল তার রিপাবলিকান সদস্যদের ৬ জানুয়ারি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সত্যায়ন সম্পর্কিত অধিবেশনে যোগ না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি রিপ্রেজেন্টেটিভ মো ব্রুকস কিংবা অন্য যেকোনো হাউস মেম্বারকে অধিবেশনে যোগ না দেয়ারও নির্দেশ দেন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিনেটরদের বিদ্রোহ করার বিষয়ে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। আলাবামার রিপাবলিকান দলীয় বর্তমান সিনেটর টমি টিউবারভিল এবং কেন্টাকির সিনেটর র‌্যান্ড পল সবসময়ই আক্রমণাত্মক। টিউবারভিল ফ্লোর বিতর্কে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন। আর র‌্যান্ড পল মনে করেন নির্বাচনে ট্রাম্পের ফল ‘চুরি’ হয়েছে।

রিপাবলিকান দলীয় নীতিনির্ধারকরা আশা করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের ফল মেনে না নেয়ায় দলের মধ্যে যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে ম্যাককনেল তা প্রশমন করতে পারবেন। এই বিভেদের ফলে আগামী ৫ জানুয়ারি জর্জিয়ার দুটি সিনেট পদে যে নির্বাচন হচ্ছে তাতেও প্রভাব পড়বে। এই দুটি আসনের উপর নির্ভর করে কোন দল সিনেট নিয়ন্ত্রণ করবে।

প্রভাবশালী একজন রিপাবলিকান বলেন, ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিয়ে বিতর্কের ফলাফল হবে নির্বাচনে কারচুপির সব মামলায় আদালতে হারার মতোই। সুতরাং ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং জর্জিয়ার সিনেট নির্বাচনের দিকে মনোনিবেশ করাই অধিক ভালো হবে।


আরও পড়ুন: তা হলে এটি পর্নোগ্রাফি হলো কিভাবে?

                       দণ্ডপ্রাপ্ত ১৫ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প


আগামী ৬ জানুয়ারি কয়েকজন রিপাবলিকানের ফ্লোর বিদ্রোহে কিছুই হবে না। ডেমোক্র্যাটিক নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ কোনোভাবেই ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয়কে বদলে দেয়ার চেষ্টাকে কোনোভাবেই স্বীকৃতি দেবে না। প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সিনেটর রন জনসন (উইসকনসিন), মাইক লী (উতাহ) এবং মাইক ব্রাউনের (ইন্ডিয়ানা) মতো জিওপির অনেক সিনেটর বলছেন, তারা এই প্রচেষ্টায় অংশ নেবেন না।

দেশব্যাপী বিভিন্ন মামলায় হারার পরও জিওপির কট্টরপন্থীরা এখনো মনে করেন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে ট্রাম্পের বিজয় চুরি করে নেয়া হয়েছে।

৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল প্রতিনিধিরা অঙ্গরাজ্য সভায় আনুষ্ঠানিক ভোট দেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসি মিলে মোট ৫৩৪টি ইলেক্টোরাল ভোট। এর মধ্যে ২৭০টি ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট।

নজিরবিহীন কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা না ঘটলে আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন শপথ নেবেন। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে যাত্রা শুরু হবে বাইডেন প্রশাসনের।

সূত্র: নতুন দেশ।

news24bd.tv আহমেদ