‘কুচক্রি মহল পার্বত্যাঞ্চলের শান্তিতে খুশি নয়’

‘কুচক্রি মহল পার্বত্যাঞ্চলের শান্তিতে খুশি নয়’

ফাতেমা জান্নাত মুমু, চট্টগ্রাম

কুচক্রি মহল পার্বত্যাঞ্চলের শান্তিতে খুশি নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, পুরো দেশের শান্তি বিনষ্ট করার জন্য যেমন ষড়যন্ত্র হয়। পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়। পার্বত্য চুক্তির পর পার্বত্যাঞ্চলে চিত্র বদলে গেছে।

সরকার এখানে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অন্যান্য জেলার তুলনায় এ অঞ্চলে অনেক বেশি হয়েছে। তাই কুচক্রিমহল সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। আর সংঘাত সৃষ্টি করতে থাকে।
এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পাহাড়ের শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার আহবান জানান তিনি।

আরও পড়ুন: সানা খানকে বিয়ে করে ‘বিপদে’ মুফতি আনাস!

পাগলীর ফুটফুটে সন্তান নিয়ে বিপাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

সোমবার সকালে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর ডি
সিএইচটি মাউন্টেন বাইক’ প্রতিযোগীতার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা
বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সফিকুল আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মহিলা এমপি বাসন্তি চাকমা, ব্রিগেড কমান্ডার ফয়েজুর রহমান, দিঘীনালা উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার শেষ নেই। পার্বত্যাঞ্চলের ট্যুরিজম কাজে লাগে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে মানুষের রয়েছে আলাদা জীবনধারা ও সংস্কৃতি। যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ট্যুরিজম সম্ভাবনা কাজে লাগানো গেলে পার্বত্যাঞ্চলকে ট্যুরিজন জোন হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে বেশি সময় লাগবে না। অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা যাবে। সে জন্য সরকার এ অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রাঙামাটির সাজেক পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করছে। তাই এখানে পর্যটকদের আনাগোনা বেশ বেড়েছে। কিন্তু সাজেকে অপরিকল্পিত ভাবে যেভাবে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। যেভাবে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। এটি সঠিক নয়। এটাকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনার জন্য আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। কিছু দিনের মধ্যে এটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে এটার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে। সাজেকের মতো অন্যান্য এলাকার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে।

এ সময় মাউন্টেন বাইকারদের উদ্দেশে  ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮’শ ফুট উপরের সাজেক থেকে রওনা দিয়ে পুরো উচু-নিচু ৩’শ কিলোমিটার পাহাড় পাড়ি দিয়ে তারা থানচি পৌঁছবেন। এটি চাট্টিখানি কথা নয়। মাউন্টেন সাইক্লিং এটি যে কেউ পারে না। আমি আনন্দিত হয়েছি এই প্রতিযোগিতায় প্রায় ৭’শ জন আবেদন করেছিল তার মধ্যে নেওয়া হয়েছে ৫৫ জনকে। আজকে বাংলাদেশের তরুণদের যদি আমরা গড়ে তুলতে চাই। তাহলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ সাইক্লিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি ও মাদকের হিংস্র থাবা থেকে তরুণদের বের করে আনার জন্য ব্যাপক আকারে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাইক্লিং ট্যুরসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আয়োজন করার কোনো বিকল্প নাই।

পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা রাঙামাটি সাজেক থেকে যাত্রা করে খাগড়াছড়ি হয়ে রাঙামাটি চিংহ্লামং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে অবস্থান করবেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন রাঙামাটি চিংহ্লামং চৌধুরী মারী স্টেডিয়াম থেকে বান্দরবান স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন।

news24bd.tv তৌহিদ