বিকাশ প্রতারণার টাকা উদ্ধার করাই তার নেশা!

বিকাশ প্রতারণার টাকা উদ্ধার করাই তার নেশা!

অনলাইন ডেস্ক

মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশের একাউন্ট হ্যাক অথবা যে কোনো উপায়ে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া বিকাশ একাউন্টের টাকা উদ্ধারের জন্য সুনামগঞ্জের ছাতকে বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছেন থানার এসআই আসাদুজ্জামান রাসেল।

প্রবাসী অধ্যুষিত ছাতক উপজেলা থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিকাশ একাউন্ট থেকে নানা পন্থায় টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। এসব টাকা উদ্ধারের জন্য এলাকার লোকজনের ভরসার জায়গা হয়ে উঠছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ধন্যবাদ জানান তাঁকে।

হারানো টাকা হাতে পেয়ে অনেকে আবেগঘন পোস্টও করেন ফেসবুকে। এভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন বিকাশের টাকা উদ্ধারের হিরো তিনি।


বাসে ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার কথা স্বীকার করল হেলপার


শুরুটা হয়েছিল ২৩ অক্টোবর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী সুনু মিয়ার ২০ হাজার টাকা উদ্ধারের মাধ্যমে। সেই থেকে উপজেলার যে কোনো জায়গায় কেউ প্রতারিত হয়ে টাকা খোয়ালে ছুটছেন থানায়।

এগুলো পর্যায়ক্রমে শেষও করছেন আসাদুজ্জামান রাসেল। সর্বশেষ গতকাল সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আমেরতল গ্রামের আরজক আলীর এক লাখ টাকা নাটোরের লালপুর থেকে উদ্ধার করে বেশ আলোচিত হয়েছেন তিনি।

ভুক্তভোগী রিপন আহমদ রুপন জানান, 'ভাবতেই পারিনি টাকাগুলো আবার ফেরত পাবো। টাকা হারিয়ে অনেকটা হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। অবশেষে পুলিশ পারে না এমন কোনো কাজ নেই তা প্রমাণ হলো। এসআই রাসেল এবং পুরো পুলিশকে ধন্যবাদ। পুলিশের কাজের প্রতি বিশ্বাস বহুগুন বেড়েছে আমার। '

আসাদুজ্জামান রাসেল জানান, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে মানুষের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করাই পুলিশের কাজ। সকল কাজই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইদানিং এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে করতে একধরনের নেশা হয়ে গেছে। এরকম কোনো অভিযোগ এলে সমাধান না করা পর্যন্ত অতৃপ্তি থেকে যায়। '

ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বিলাল হোসেন, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিনসহ সকল সহকর্মীদের সহযোগিতার কারণে টাকা উদ্ধারে সফল হন বলে জানান তিনি। সূত্র: কালের কণ্ঠ।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর / কামরুল