আল্লাহর অশেষ নিয়ামত। তিনি গাফুরুর রাহিম, তার দয়ার শেষ নেই। মুমিন বান্দা ভাল মনে ও উদ্দেশে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলা দায়বান মেহেরবান আল্লাহ কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না।
তাই আল্লাহর সাহায্য লাভ করতে হলে তাঁরই শেখানো ভাষায় প্রার্থনা করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই।
আল্লাহ তাআলা তার বান্দার দোয়া কবুল করে নেবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। কুরআনে এসেছে-فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذَلِكَ نُنجِي الْمُؤْمِنِينَ
‘অতপর আমি তাঁর (নবি ইউনুসের) আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনি ভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি। ’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৮)
আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিকনির্দেশনাও এমনই।
সরাসরি আল্লাহর সাহায্য লাভের পরিচিত দোয়াটি হলো-
لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন। ’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ ! তুমি ব্যতিত কোনো মাবুদ নেই (যার কাছে দয়া, ক্ষমা ও সাহায্য চাওয়া যায়)। তুমি পাক-পবিত্র। আমিই জালিম, আমিই পাপী। ’
সুতরাং চরম বিপদে হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামের সাহায্য চাওয়ার এ দোয়াটি পড়লে মহান আল্লাহ ওই বান্দার প্রার্থনা কবুল করে নেবেন। কেননা মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনে তার প্রার্থনা কবুল করে নেয়ার পাশাপাশি মুমিন বিশ্বাসীদের প্রার্থনা কবুল করে নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নারীরা কি বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে?
এ দোয়াটি ‘দোয়া ইউনুস’ নামে ব্যাপক পরিচিত। ঈমানদার বান্দা কোনো সমস্যা পড়ে আল্লাহর কাছে এ দোয়াটি পড়লে, আল্লাহ তাআর প্রার্থনা কবুল করে নেবেন। আর বিশ্বনবিও হাদিসে পাকে দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে দিয়েছেন নিশ্চয়তা।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, মহান আল্লাহর সরাসরি সাহায্য লাভে তারই শেখানো ভাষায় উল্লেখিত দোয়াটি বেশি বেশি পড়া। মহান আল্লাহর সাহায্য লাভ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামের এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ে আল্লাহ একত্ববাদের ঘোষণা দিয়ে বিপদ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
news24bd.tv আহমেদ