ঘরের মাঠে স্প্যানিশ ইসকো ঝড়ে রীতিমত উড়েই গেল আর্জেন্টিনা ৷ ক্লাব পর্যায়ে ফর্ম হারানো ইসকো এদিন হ্যাট্রিক গোল করেন। বাংলাদেশ সময় ২৮ মার্চ প্রথম প্রহরে প্রীতি ম্যাচে মেসিহীন আর্জেন্টিনা ছয় গোল হজম করে। মাত্র একটি গোল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে হিগুয়েনরা।
প্রথমার্ধে দুটি এবং দ্বিতীয়ার্ধে আরও চার গোল হজম করে ভক্তদের সমালোচনায় পড়েছে আর্জেন্টিনা।
একইসঙ্গে মাঠে আর্জেন্টিনার চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল সমর্থকরা তো রীতিমতো উল্লাস করছেন। মেসি না খেললেও স্পেনের কাছে হাফ ডজন গোল হজম করা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা আর্জেন্টিনার কাছে ৷বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে স্প্যানিশদের দেওয়া ছয় গোল ঝুলিতে পুরে মাঠ ছাড়ায় মোটেই স্বস্তিতে নেই আর্জেন্টিনা ৷ ডাচদের কাছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল তিন গোল হজম করেছিল ৷ মেসিহীন আর্জেন্টিনা হজম করল তার চেয়ে দ্বিগুণ গোল ৷ আর্জেন্টিনার হয়ে এদিন সান্ত্বনামূলক গোলটি করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি ৷
প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর ওটামেন্ডি একটি গোল শোধ করলেও দ্বিতীয়ার্ধে আরও চার গোল আর্জেন্টিনার কাঁধে চাপিয়ে দেয় স্পেন। দীর্ঘদিন শিরোপা খরায় ধুকতে থাকা আর্জেন্টিনার এমন পরাজয় যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা।
এদিকে আর্জেন্টিনা তাদের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ফলাফলের নতুন রেকর্ড থেকে মাত্র এক গোল দূরে ছিল এদিন।
ম্যাচ হারের জন্য কোচ হোর্হে সাম্পাওলির ওপর দোষ চাপাচ্ছেন অনেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্পেন নিজেদের মাঠে খেলছে। ১৭ ম্যাচ ধরে অপরাজিত। এমন একটা ম্যাচে সাম্পাওলি একাদশ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় গেলেন! আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আভাস দিয়েছিলেন, এখনো বিশ্বকাপের দল খুঁজে পাননি। তাই বলে এমন পরীক্ষায় যাওয়া কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন করছেন অনেকে।
গত ম্যাচে মেসিকে ছাড়াই ইতালিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচের দুই গোলদাতাকে এ ম্যাচে প্রথম একাদশে রাখলেনই না কোচ। একজনকে পাঠিয়ে দিলেন ভিআইপি বক্সে মেসির সঙ্গে খেলা দেখতে! অথচ যে জায়গায় সাম্পাওলির পরিবর্তন আনা সবচেয়ে জরুরি, সেই গঞ্জালো হিগুয়েইনকে আরও একটা ম্যাচে সুযোগ দেওয়ার খেসারত গুনেছেন। এদিন প্রথমার্ধেই অন্তত দুটি সুযোগ নষ্ট করেছেন হিগুয়েইন।