মশা নিধনে সোমবার থেকে ক্রাশ প্রোগাম শুরু: মেয়র আতিক
পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তে কমিটি
৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
রাহাত খান বরিশাল
বরিশালে গোয়েন্দা পুলিশের অমানবিক নির্যাতনে এক যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত পুলিশের কঠোর বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ এবং মহাসড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।
এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নগরীর সাগরদী শের-ই বাংলা সড়কে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক মহিউদ্দিনের বাসার জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। খবর পেয়ে মেট্রো পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিচারের আশ্বাস দেয়ায় অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধরা। এ ঘটনা তদন্তে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. মোক্তার হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রবিবার দুপুরের পর ময়না তদন্ত শেষে বিকেল ৫টার দিকে রেজাউল করিমের লাশ তার নিজ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনসহ এলাকাবাসী। এ সময় উত্তেজিত বাসিন্দারা রেজাউল হত্যার বিচারের দাবীতে তার লাশ নিয়ে সাগরদী মাদ্রাসার সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে। মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে রেজাউল হত্যার বিচার দাবীতে নানা শ্লোগান দেয় তারা। খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিন) মো. মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দিলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
এরপরই তারা সংলগ্ন শের-ই বাংলা সড়কে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মহিউদ্দিনের নিজ বাস ভবনে ইটপাটকেল ছুড়ে ১০টির বেশী জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। পরে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
বছরের প্রথমদিনে শিশু জন্মে ভারতের বিশ্ব রেকর্ড
মোবাইল আসল কি নকল যেভাবে যাছাই করবেন
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর সাগরদী হামিদ খান সড়কের সন্মুখের একটি চায়ের দোকান থেকে রেজাউল করিমকে আটক করে স্থানীয় বাসিন্দা ও গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মহিউদ্দিন। এ সময় মহিউদ্দিন তার পকেট থেকে ১৩৮ গ্রাম গাঁজা এবং ৪টি মরফিন ইনজাকশন উদ্ধারের দাবি করলেও স্থানীয় কোন প্রত্যক্ষদর্শীকে সাক্ষী করা হয়নি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে নগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে হাজির করা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপ-পরিদর্শক মহিউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করে। পরদিন শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরন করে পুলিশ।
কারাগারের জেলার মো. শাহ আলমের দাবী রেজাউল করিমকে কারাগারে নেয়া হয়েছে মেডিকেল সার্টিফিকেট সহ শরীরে ফুলা জখম অবস্থায়। আদালতের নির্দেশে প্রথমে তাকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনদের রেজাউলকে সুস্থ-সবল অবস্থায় ধরে নিয়ে যায় এসআই মহিউদ্দিন। পুলিশ তার কাছ থেকে মাদক উদ্ধারের দাবী করলেও স্থানীয় কোন প্রত্যক্ষদর্শী নেই। গোয়েন্দা পুলিশ নির্যাতন করে রেজাউলকে হত্যা করেছে দাবী করে অভিযুক্ত পুলিশের বিচার দাবী করেন তারা।
নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী হামিদ খান সড়কের বাসিন্দা ও সাগরদী বাজারের মাংশ ব্যবসায়ী মো. ইউনুস মুন্সির ছেলে রেজাউল করিম রেজা (৩০) সদ্য এলএলবি পাশ করে। তারা দুই ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। তার স্ত্রী রয়েছে।
news24bd.tv/আলী
পরবর্তী খবর
মন্তব্য