পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত

পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত

Other

পানি আর মাছভর্তি তিস্তার বুকে জেগে উঠেছে ধু ধু বালুচর। জমি জেগে উঠলেও সেচের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। কেউ দূর থেকে আবার কেই ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন ফসল। পানির অভাবে তিস্তাপাড়ে দেখা দিয়েছে কৃষকের মাঝে হাহাকার ।

 

ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর নীলফামারী জেলার কালীগঞ্জ সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ঐতিহাসিক তিস্তা নদী। লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী বন্দর হয়ে ব্রক্ষপুত্র নদের সঙ্গে মিশেছে এ নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৬৫ কিলোমিটার হলেও বাংলাদেশ অংশে রয়েছে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার।

স্থানীয়রা বলছেন, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলার ১৩৫ কিলোমিটার তিস্তার অববাহিকায় জীবনযাত্রা, চাষাবাদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

জেগে উঠা চরে মিলছে না চাষাবাদের পানি।

তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি কিছুটা থাকলেও উজান ও ভাটির  তিস্তা রেলসেতু, তিস্তা সড়ক সেতু যেন প্রহসনমূলকভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে ধু-ধু বালুচরের বুকে। ঢেউহীন তিস্তায় রয়েছে শুধু বালুকনা। জেগে উঠেছে ছোট বড় ৩৪২টি চর। আর এসব চরে প্রতি বছর চাষবাদ করে থাকেন তিস্তা অববাহিকার লক্ষাধিক কৃষক। কিন্তু শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই পানি শূণ্যতায় আবাদ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়তে হয়েছে চাষিদের।


আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ: মাশরাফিকে ছাড়াই প্রাথমিক দল ঘোষণা


তবে বরাবরের মতো তিস্তা খনন ও সেচ পরিধি বাড়নোর মহা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আহসান হাবিব। ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণেই মরে গেছে তিস্তা এমন অভিযোগ তুলে অবিলম্বে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের কথা বলছেন তিস্তা বাচাঁও নদী বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি।

শীতকালেই মরে গেছে তিস্তা। জেগে উঠা চরে চাষাবাদ করতে গিয়ে পানির অভাবে দিশেহারা কৃষকের চোখে মুখে কেবলই হতাশার ছাপ। স্বপ্নের সোনালি ফসল ফলাতে তাই অবিলম্বে পানি চুক্তির দাবি তিস্তাপারের মানুষের।

news24bd.tv আহমেদ

সম্পর্কিত খবর