৪০ বছরে মৌলবাদের অর্থনীতির মুনাফা ৩ লাখ কোটি টাকা

৪০ বছরে মৌলবাদের অর্থনীতির মুনাফা ৩ লাখ কোটি টাকা

Other

২০১৯ সালে মৌলবাদের অর্থনীতির নিট মুনাফা ৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। বিগত ৪০ বছরে মৌলবাদের অর্থনীতির মোট মুনাফা ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি। সম্প্রতি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত তার একটি গবেষণামূলক বইতে এসব তথ্য দিয়েছেন।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, মৌলবাদের এই মুনাফা উগ্রবাদ ছড়ানোর বড় হাতিয়ার।

এই প্রেক্ষাপটে সিআইডি প্রধানের দাবি, সন্দেহভাজন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোর ওপর ওপর সার্বিক নজরদারি আছে।  

গত প্রায় দুই দশক ধরে আলোচনায় মৌলবাদের অর্থনীতি। বিষয়টি প্রথম সবার নজরে আনেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আবুল বারকাত। সম্প্রতি তার নতুন বই, বড় পর্দায় সমাজ-অর্থনীতি-রাষ্ট্র’তে তিনি তথ্য-প্রমাণ দিয়ে লিখেছেন, ২০১৯ সালে মৌলবাদের অর্থনীতির নিট মুনাফা ৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা।

বিগত ৪০ বছরে মৌলবাদের অর্থনীতির মোট মুনাফা ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে মৌলবাদীরা অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন। তিনি জানান, ব্যাংক, হাসপাতাল বা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তারা বিনিয়োগ করছে। এই অর্থনীতি মৌলবাদের অর্থনীতি এবং জঙ্গিবাদের অর্থনীতিও বটে।

অধ্যাপক আবুল বারকাত, তার বিশ্লেষণে দেখিয়েছেন, কীভাবে ত্রিভূজ কৌশলে, মৌলবাদের রাজনীতি ও উগ্রবাদ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে। সেই সূত্রে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অভিমত, শক্তিশালী মৌলবাদি অর্থনীতি, সবসময়ই জঙ্গিবাদে ব্যবহার হবার শঙ্কা থাকে।


আরও পড়ুন: সরকারে আওয়ামী লীগের ১২ বছর: উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট


নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলছেন, মৌলবাদের এই অর্থনীতি জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ সরানোর বড় মাধ্যম। কিন্তু সে দিকে কারও নজর নেই। তাদের সাংগঠনিক নীরব তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, জঙ্গি অর্থায়ন বিষয়ে, সবসময়ই সতর্ক অবস্থানে তারা। অনেক ব্যাংক বা এজেন্সি এসব অর্থ নিয়ে আসতো তাদেরও বন্ধ করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা কৌশলে রং বদলে উগ্রবাদীরা বিভিন্ন দল ও সংগঠনে আত্ম গোপনেরও চেষ্টা করছে। সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে।

news24bd.tv আহমেদ