স্ত্রীকে সুখে রাখার কৌশল

স্ত্রীকে সুখে রাখার কৌশল

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার সময়েও বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়েছে ঢাকায় । গেল বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ মাসে ঢাকায় বিবাহবিচ্ছেদ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।   এই সময়ে দৈনিক ৩৯টি তালাকের ঘটনা ঘটেছে, অর্থাৎ প্রতি ৩৭ মিনিটে একটি তালাক হয়েছে। আমরা জানি বিয়ের মধ্য দিয়েই একটি পরিবারের গোড়া পত্তন হয়।

কিন্তু সেই আনন্দের বিয়ে কেন শেষ পরিণতি বিচ্ছেদে রুপ নিবে সেটাই বড় প্রশ্ন সকলের মনে। আমরা একটু সচেতন হলেই দেখা যায় সংসারটা সুখের হয়ে ওঠে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে স্বামীর ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। আর সংসারের সুখ-শান্তির চাবিকাঠি স্ত্রীর কাছে।
সেজন্য স্বামীর প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে স্ত্রীকে খুশি রাখা। বিয়ের পর সম্পর্ককে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাও একটা চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও সম্পর্কে নানা বাধা বিপত্তি আসতেই পারে। সব কিছু দূরে সরিয়ে কীভাবে ভালো থাকবেন দুজনে? সেই বিষয়ে কিছু টিপস


গুরুত্ব দিন বিয়েতে
বিয়ে মানেই আপনাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন একটি সম্পর্ক। আর তাই সব কিছুর উর্ধ্বে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ককে গুরুত্ব দিন। স্ত্রীকে বাদ দিয়ে বাকিদের সঙ্গে সব সময় পরিকল্পনা করবেন না। মতামত দিন তার ইচ্ছেকেও।


বন্দুকের ট্রিগারে ইরানি সেনাদের আঙুল : ইরান

বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাজ্যে অ্যাপল বিক্রয়কেন্দ্র

একি করলেন তাসকিন

এলো ‘কেজিএফ : চ্যাপ্টার টু’র নতুন লুক

স্ত্রীর জন্য আপনিও গর্ববোধ করুন
আপনার স্ত্রী কিন্তু আপনাকে নিয়ে যথেষ্ঠ গর্বিত। আর তাই আপনিও আপনার স্ত্রীকে নিয়ে গর্ববোধ করুন। কখনও তাকে ছোট করবেন না। কারণ তিনি কিন্তু আপনাকে বিয়ে করে সুখী। আপনার সঙ্গে সংসার করতেই নিজের বাড়ি ছেড়ে এসেছেন।

স্ত্রীর ভুল ধরবেন না বেশী 
রান্নায় কেন তেল বেশি হয়েছে, বা কেন মোটা হয়ে যাচ্ছ এসব বলে খোঁটা দেবেন না। এছাড়াও তার ভুল সবসময় ধরবেন না। এমনকী যদি কোনও অনুষ্ঠানে তিনি অজান্তে কোনও ভুল করেন তাহলেও তাঁকে সবার সামনে অপমান করবেন না।

গুরুত্ব দিন  স্ত্রীর মতামতকে
স্ত্রী যা বলছেন সবসময় তা হেসে উড়িয়ে না দিয়ে মন দিয়ে শুনুন। কারণ তিনি কখনও আপনাকে খারাপ উপদেশ দেবেন না। বরং আপনার কীসে ভালো হবে সেটাই তিনি মন দিয়ে দেখেন। আপনি তার কথায় সায় দিলে আপনার স্ত্রীয়েরও তা ভালো লাগবে।

স্ত্রী কিন্তু আপনার সঙ্গেই খুশি থাকতে চান
আপনার স্ত্রী কিন্তু আপনার সঙ্গেই খুশি থাকতে চান। আর তাই তিনি যদি কোথায় যেতে চান বা কোথাও নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ রাখেন অবশ্যই তা পালন করার চেষ্টা করুন। তিনি সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে শুনলেন আপনি সেখানে যেতে চান না। এতে কিন্তু তাঁর খারাপ লাগে।

আপনার সম্মানের প্রতি সর্বদাই নজর থাকে তার
আপনার যথার্থ সম্মান বজায় আছে কিনা, সেদিকে কিন্তু তিনি সবসময়ই নজর রাখেন। তাই এটা আপনাকেও খেয়াল রাখতে হবে যে সবাই যেন আপনার স্ত্রীকে সম্মান করেন।

স্ত্রীয়ের সঙ্গে আপনিও শিখুন
বিয়ে করে আসার পর থেকেই একটি মেয়ে কিন্তু জীবন থেকে প্রতিনিয়ত শিখতে থাকে। একটি ছেলেও শেখে। আর এই শেখায় ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে। আর তাই সবসময় স্ত্রীকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবেন না। বরং তাঁকেও শিখে নেওয়ার সুযোগ দিন।

মিথ্য বলবেন না 
যেকোনও সম্পর্কের ভিত্তি হল বিশ্বাস। আর তাই অকারণে মিথ্যে না বলাই ভালো। একটা মিথ্যে ঢাকতে গিয়ে হাজারটা কথা বলতে হয়। আর সেখান থেকে সত্যি কথা বেরিয়ে আসে। যে কারণে স্ত্রীকে লুকিয়ে কোনও কাজ করবেন না। ধরা পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

স্ত্রীকে স্পেশ্যাল ট্রিট দিন
স্ত্রী সারাদিন হাজার কাজের মধ্যে ঠিক মনে রাখেন আপনার কেমন চা পছন্দ। কিংবা মাংসের ঝোলের আলু আপনি কতটা পছন্দ করেন। সেই মতো খাবার বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেন। এই চেষ্টা জারি থাক আপনার তরফ থেকেও। স্ত্রীকে বুঝিয়ে দিন তিনি আপনার কাছে কতটা স্পেশ্যাল। পছন্দের মিষ্টি, চকোলেট, ফুল এসব উপহার দিতেই পারেন।

সংযোগ ভালো থাক
ভাববাচ্যে কথা নয় স্ত্রীয়ের সঙ্গে। কোনও সমস্যা হলে কিংবা কোনও কারণে রাগ হলে তা খুলে বলুন। ঘুরিয়ে কথা শোনাবেন না। কিংবা অপমান করবেন না। এমনকী তৃতীয় কোনও ব্যক্তিকে দিয়েও কথা বলানোর চেষ্টা করবেন না। বরং নিজে সমস্যার সমাধান করুন। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে।
 
আমাদের সমাজ বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  বর্তমানে কমবেশি সবাই করোনার কারণে কোনো না কোনোভাবে চাপে আছে। এই পরিস্থিতি কত দিন চলবে, সেটির কোনো সুনির্দিষ্ট সময় নেই। তাই সহিষ্ণুতার কোনো বিকল্প নেই। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ধৈর্যশীল আচরণ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, করোনার এই নিউ নরমাল বা নতুন স্বাভাবিক জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। পারিবারিক বন্ধনের মূল বিষয় ধৈর্য। চাপের সময় সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। করোনা এই সংকটের সময় সঙ্গীর হাতে হাত ধরে চলতে হবে। তাহলেই সংসারে থাকবে সুখ ও আনন্দ।

news24bd.tv/আলী