জর্জিয়ায় ডেমোক্রেটের ঐতিহাসিক জয়

জর্জিয়ায় ডেমোক্রেটের ঐতিহাসিক জয়

অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে কোন দল নেতৃত্ব দেবে তার ভাগ্য নির্ধারণী নির্বাচনে মঙ্গলবার রাজ্যের ১৫৯টি কাউন্টিতে ভোট দিয়েছেন জর্জিয়াবাসী। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান সিনেটর কেলি লোয়েফলার ও ডেভিড পারডুর সঙ্গে লড়ছেন ডেমোক্রেট রাফায়েল ওয়ারনক ও জন ওসফ। ইতোমধ্যেই জয় নিশ্চিত করছেন রাফায়েল ওয়ারনক।   এর মধ্য দিয়ে, ওই অঙ্গরাজ্যে ২০ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো ডেমোক্রেট প্রার্থী বিজয়ী হলেন।

খবর রয়টার্স,সিএনএন।

এর আগে, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জর্জিয়ার এ আসন দুটিতে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় এ রান-অফ নির্বাচন আয়োজন করা হলো।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিভিন্ন টেলিভিশন নেটওয়ার্কের খবর ও এডিসন রিসার্চের করা ভোটের হিসাবে রিপাবলিকান প্রার্থী কেলি লেফলারকে পরাজিত করেছেন রাফায়েল ওয়ারনক।

পুরো যুক্তরাষ্ট্র এখন তাকিয়ে আছে পারডু ও ওসফের লড়াইয়ের দিকে।

সর্বশেষ গণনা হওয়া পর্যন্ত ওসফ এগিয়ে থাকলেও দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান খুবই সামান্য।  

করোনা ভ্যাকসিন নিলেন নওশীন

বন্দুকের ট্রিগারে ইরানি সেনাদের আঙুল : ইরান

বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাজ্যে অ্যাপল বিক্রয়কেন্দ্র

একি করলেন তাসকিন

এলো ‘কেজিএফ : চ্যাপ্টার টু’র নতুন লুক

ওয়ারনকের জয়কে দেশটির সুইং স্টেট খ্যাত জর্জিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে ধরা হয়েছে। দক্ষিণ পন্থী এই রাজ্যে ১৯৯২ সালের পর প্রথম কোনো ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে জো বাইডেন নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়েছেন। এবার সিনেট নির্বাচনেও ডেমোক্রেটদের এগিয়ে থাকা জর্জিয়াবাসীর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনেরই কথা বলছে।


অন্যদিকে, মঙ্গলবারের নির্বাচনে প্রায় ৪৫ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। রান-অফ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটি নতুন রেকর্ড। যে সামান্য কিছু এলাকার ভোট গণনা এখনও বাকি রয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগ এলাকাতেই নভেম্বরের নির্বাচনে জো বাইডেন জিতেছিলেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সিনেটে রিপাবলিকান আসন ৫০টি ও ডেমোক্রেট ৪৮টি। এই দুই আসনে ডেমোক্রেট দুই প্রার্থী জয় পেলে দুই দলের আসনই সমান হবে। তবে সেক্ষেত্রে মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী ডেমোক্রেট ভাইস- প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস টাই- ব্রেকিং ভোটটি দেবেন। মার্কিন সিনেটের হাতে মন্ত্রীপর্যায়ের পদ ও বিচারবিভাগীয় নিয়োগের অনুমোদন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ইস্যুসহ গুরুত্বপূর্ণ নীতি অনুমোদনের ক্ষমতা থাকায় সিনেটের নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওসফ যদি জয় পান তবে ২০০৮ সালের পর এই প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের দুই কক্ষ হাউস ও সিনেটসহ হোয়াইট হাউসে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে ডেমোক্রেট দল।

news24bd.tv/আলী