আপনার নিয়োগপত্র যত্নে রাখুন

আপনার নিয়োগপত্র যত্নে রাখুন

Other

বেশ কয়েক বছর ধরে বিশেষ করে লেবার ল এবং চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করে আসছি। আইনজীবী হিসেবে সাধারণত যখনই লেবার ল এর non-compliance issue arise করে তখনই মালিকপক্ষ অথবা শ্রমিকপক্ষ আমাদের শরণাপন্ন হন, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই কিছু সচেতনতামূলক কথা বলতে চাই।

আজ দুই দিন ধরে একজন চাকরিচ্যুত চাকরিজীবীর হয়ে কাজ করছি, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ও তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে মতামত দিলাম যে, মালিকপক্ষকে একটি নোটিশ দিতে হবে। নোটিশ ড্রাফট করতে যেয়ে যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম সেটাই আজকের লেখার বিষয়।

আরও পড়ুন: কবর খুঁড়তেই দেয়ালে ভেসে উঠল আরবি হরফ

সেই কবরটির একপাশে লেখা ইয়াসিন, অন্যপাশে মিম হা মিম

আইনগত নোটিশ ড্রাফটের জন্য যে যে ডকুমেন্ট এবং তথ্যাদি দরকার তা এই চাকরিজীবীর কাছে সংরক্ষিত নেই। তাই সঠিক তথ্য দিয়ে ড্রাফট করা যাচ্ছে না।

এদিকে, অনুমানের উপর ভিত্তি করে কারো অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায় না। যেমন একজন বেসরকারি চাকরিজীবী এর অন্যতম প্রধান চাকরি সংক্রান্ত ডকুমেন্ট হলো তার অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার বা নিয়োগপত্র।

সেই অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার বা নিয়োগপত্রে থাকে চাকরির প্রকৃতি, চাকরিজীবীর শ্রেণিবিভাগ, কর্মস্থল, বেতন ভাতাদি, ছুটিসহ অন্যান্য প্রাপ্য সমূহ এবং প্রযোজ্য বিধি-বিধান যা তার চাকরির সাথে সংশ্লিষ্ট।

আমাদের কারো যদি একখণ্ড জমি থাকে এবং ওই জমির মূল্য কম বেশি যাই হোক না কেন অত্যন্ত যত্নের সাথে আমরা সে জমির কাগজাদি-দলিলপত্রাদি সংরক্ষণ করি। ঠিক তেমনি একজন চাকরিজীবীর কাছে তার চাকরি সংক্রান্ত কাগজাদিও একইভাবে সংরক্ষণ করা উচিত কারণ এই চাকরি তার আরও একটা মূল্যবান সম্পদ এবং এই সম্পদের উপরে তার জীবন-জীবিকা এবং ভবিষ্যত নির্ভর করে। চাকরি জীবনে অনেক প্রকারের বাধা-বিপত্তি আসতে পারে, ঘটতে পারে চাকরি হতে বিচ্ছেদের মতো চূড়ান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, তার জন্য রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিধি-বিধান এবং দেশে প্রচলিত আইন কানুন, তবে এই বিধিবিধান এবং আইন-কানুন দ্বারা আপনার প্রতিকার বা অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রয়োজন আপনার চাকরির সংক্রান্ত মূল কাগজাদি এবং তথ্যাদি।

অতএব শুধু রাষ্ট্রীয় আইন ব্যবস্থা ও আইনজীবী এর ওপর ভরসা না করে সর্বপ্রথম আপনি আপনার চাকরি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট বা কাগজাদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন। যেমন- এপোয়েন্টমেন্ট লেটার, জয়নিং লেটার, কনফার্মেশন লেটার, প্রমোশন লেটার, স্যালারি স্টেটমেন্ট, পে স্লিপ ইত্যাদি।

মো. নিয়ামুল কবীর জোহা: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

news24bd.tv তৌহিদ