বগুড়ার শিবগঞ্জের পল্লীতে ধর্ষণের শিকার শারীরিক প্রতিবন্ধী এক বিধবা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্থানীয় ঘরজামাই বাদল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাদল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাশাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে বুধবার রাতেই শিবগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর মা। ওই মামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম জাহিদুল ইসলাম।
৫ মাসে পাঁচ মৃত কিশোরীকে ধর্ষণ করে মুন্না
তিনি ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। মামলার অন্য দুই আসমির নাম পরে জানানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মা বলেন, ‘থানায় অভিযোগ দেওয়া পর থেকেই ইউপি সদস্য জাহিদুল ও তার লোকজন আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ’
ঘটনার অনেকদিন পরে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ঘরজামাই বাদল। ’
আরও পড়ুন: সরকার কারা ডুবায় কীভাবে ডুবায়
মরদেহ পোড়ানোকালে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ল ছাদ, নিহত ১৯
আরও পড়ুন: ধর্ষকের গোপনাঙ্গ কাটার আইন চেয়ে আদালত প্রাঙ্গণে তিনি
ওরা আমার বুক, গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে দিয়েছে : সৌদি ফেরত তরুণী
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী ওই বিধবার সাত বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সাড়ে ৫ বছরের মধ্যে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। দেড় বছর আগে হঠাৎ তার স্বামী মারা যায়। এরপর থেকেই ওই নারী সন্তানদের নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই ছিলেন।
বাড়িতে একা থাকার সুযোগে বাদল ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই ধর্ষণ করত প্রতিবন্ধী ওই নারীকে। ধর্ষণের ফলে বিধবা অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই নারীর মা ইউপি সদস্যসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
দুই মাস ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, দাদা-দাদিকে বলেও রেহাই পায়নি কিশোরী!
শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ‘মামলার পরই অভিযুক্ত বাদলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ’
news24bd.tv তৌহিদ