সূরা কাহাফ পাঠের ফজিলত, জুমার দিনে এর গুরুত্ব

সূরা কাহাফ পাঠের ফজিলত, জুমার দিনে এর গুরুত্ব

অনলাইন ডেস্ক

সূরা কাহাফ পবিত্র কুরআনের ১৮নং সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১০। নিয়মিত এ সূরা তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত আছে। বিশেষ করে জুমার দিন এ সূরা তিলাওয়াতের ফজিলত অনেক বেশি।

রুহুল মাআনিতে হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন, সূরা কাহাফ সম্পূর্ণ একসঙ্গে নাজিল হয়েছে এবং এর সঙ্গে সত্তর হাজার ফেরেশতা আগমন করেছেন। এতে বোঝা যায় সূরা কাহাফের মহত্ব অনেক বেশি ।

যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার নুর এ জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে (মিশকাত ২১৭৫)।

আরেক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে সে আট দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।

যদি দাজ্জাল বের হয় তবে তার ফেতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।


আরও পড়ুন: কোরআনের ফযিলতপূর্ণ কয়েকটি সূরা ও আয়াত


মুসনাদে আহমদে হজরত সাহল ইবনে মুয়াজের রেওয়াতে আছে যে, রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম ও শেষ আয়াতগুলো পাঠ করে তার জন্য তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নুর হয়ে যায়। আর যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ সূরা পাঠ করে তার জন্য জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয়ে যায়।

জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করলে কিয়ামত দিবসে তার পায়ের নিচ থেকে আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত নুর আলোকিত হবে এবং দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহ মাফ হবে। (আত তারগিব ওয়াল তারহিব-১/২৯৮)।

news24bd.tv আহমেদ