শব্দেরা খুব শক্তিশালী হয়। কোন শব্দ দিয়ে নারী নির্যাতনের প্রতিকার চাইছেন আর কোন শব্দ দিয়ে মূলত তাকে অবজেক্ট, ঊন এবং ভিকটিমহুড চর্চা করতে উৎসাহিত করছেন তা ভাববার সময় এসেছে। কতগুলো শব্দ লক্ষ্য করুন। আপনাদের বিশেষত গণমাধ্যমের ভাবনার জন্য শব্দগুলো তুলে দিলাম।
১. বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ
২. তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ
৩. পালাক্রমে ধর্ষণ
৪. রাতভর ধর্ষণ
৫. বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ
৬. সম্ভ্রমহানি
৭.শ্লীলতাহানি
৮. ইজ্জ্বতের বিনিময়ে স্বাধীনতা
৯. ইভটিজিং এর শিকার
১০.বখাটেদের দারা উত্ত্যক্ত হওয়া
১১. উপুর্যপরি ধর্ষণ
১২. নারী হলো মায়ের জাত
এই শব্দগুলো কি নারীর পক্ষে যায়? নারীকে পূর্ণ মানুষ ভাবতে সহায়তা করে? নাকি চোখে ভাসে জবুথবু, দুর্বল বা অবলা এক মাংসপিণ্ড?
ধর্ষণে রক্তক্ষরণের শিকার কিশোরীকে বাঁচানো গেল না
কেন ছোট বোনের বিয়ে, অভিমানে চিরকুট লিখে ফাঁসিতে ঝুলল বড় বোন
এছাড়া ধারণাগত কিছু পুরোন ডিবেট আছে। ধর্ষণের শিকার নারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করা বিরাট অপরাধ। আগে কিছু ট্যাবলয়েড পত্রিকায় ভিকটিমের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হতো। এতে তারা "সামাজিকভাবে হেয়" হতো।
আনুস্কার ছবি প্রকাশ নিয়েও সবাই ক্ষুব্ধ। ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি ছাপলে কি হয়? তারে, তার পরিবারের দিকে লোকে আঙুল তোলে? আপনারা যারা পরিবর্তন চান তারা প্লিজ তোলা আঙুলগুলো কেটে দেন, ছবি যারা ছাপলো তাদের গালাগালি করার চেয়েও এইটা জরুরি।
এইসব নিয়ে অনেক লিখেছি। সেইসব লেখা সম্ভবত বৃথা গেছে। কারণ এখনও সম্মান জিনিসটাকে মেয়েদের যোনী থেকে টেনে বের করা যায় নাই।
news24bd.tv তৌহিদ