দিনমজুরের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আ.লীগ নেতাসহ আটক ২

দিনমজুরের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আ.লীগ নেতাসহ আটক ২

Other

নাটোরের নলডাঙ্গায় ভিজিএফের কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে এক দিনমজুরের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহিম দেওয়ান নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।   

একই সঙ্গে ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করারও অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইব্রাহিম দেওয়ান ও তার সহযোগী বকুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইব্রাহিম উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

তার সহযোগী বকুল হোসেন একই এলাকার আবেদ আলীর ছেলে।

কেই এই দিহান?

যেভাবে মানুষের ‘রুহ’ কবজ করা হয়

সম্পর্ক মধুর হয় যে কারনে

শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) দিনগত রাত ৮টার দিকে ওই নারী নলডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাঁশভাগ এলাকা থেকে ইব্রাহিম দেওয়ান ও তার সহযোগী বকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ইব্রাহিমের বাড়ি উপজেলার বাঁশভাগ পূর্বপাড়ায়। তার অপর সহযোগী একই গ্রামের মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে রেজাউলকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম মৃধা সত্যাতা নিশ্চিত করেন ।   

তিনি বলেন, গত বছরের ৩ অক্টোবর বিকেলে নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নে এক দিনমজুরের স্ত্রীকে ভিজিএফের কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেন ইব্রাহিম। পরে ওই নারীকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। এসময় তার দুই সহযোগী বকুল ও রেজাউল ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। ঘটনাটি যাতে কেউ না জানে সেজন্য ইব্রাহিম তাকে ভয় দেখান ও নজরদারিতে রাখেন। এমনকি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই মাস পর শুক্রবার রাতে নলডাঙ্গা থানায় ওই নারী বাদী হয়ে ইব্রাহিম, বকুল হোসেন ও রেজাউল করিমকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম ও বকুলকে গ্রেফতার করে।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।   

এ ব্যাপারে পিপরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন  জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নামে ইব্রাহিম দেওয়ান যে নোংরামী করেছেন, তা ক্ষমার অযোগ্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ঘটনায় তিনি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। তাই এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


news24bd.tv/আলী