সাত বছর আগে স্বেচ্ছাসেবার জন্য কায়রো এসেছিলেন জিল বার্টন এবং তার স্বামী ওয়ারেন বার্টন।
অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা বার্টন এবং তার স্বামী ওয়ারেনের আগে থেকেই ছিলো ঘোড়ার প্রতি ভালোবাসা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মিশর সফরের সময়, এই দম্পতি স্থানীয় গ্রামীণ ঘোড়া এবং গাধাদের অবস্থা দেখে কষ্ট পান।
এই প্রাণীদের মালিকরা প্রায়ই এসব পশুর যত্ন নিতে পারেন না, এমনকি এসব প্রানী অসুস্থ হলেও তাদের চিকিৎসা বা যত্ন করা তাদের জন্য বিলাসিতা।
২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে, বার্টন এবং তার স্বামী অস্ট্রেলিয়ায় তাদের পরিবারের বাড়ি এবং তাদের প্রায় সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে কায়রোতে চলে আসেন।
এখানে এসে তারা কায়রোর আবুসার অঞ্চলের বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোর কাছেই আস্তাবল সহ একটি সম্পত্তি ভাড়া নেন।
তারপর তারা অসুস্থ ঘোড়া, গাধা এবং খচ্চরদের যত্ন নিতে ২০১৪ সালে মিশর ইকুইন এইড (ইইএ) প্রতিষ্ঠা করেন। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠান স্থানীয়দের অসুস্থ ও আহত প্রাণীদের সাথে আচরণ, তাদের চিকিত্সা ও যত্ন এবং অশ্বচালনার প্রশিক্ষণ দেয়।
এই অঞ্চলে ঘোড়ার পিঠে ওঠা খুবই জনপ্রিয়। তাছাড়া মিশরে পরিবহন, কৃষি ও পর্যটন ব্যবস্থার জন্য প্রায় ৩০ লাখ ঘোড়া এবং গাধা ব্যবহার করা হয়।
রূপচর্চা করতে গিয়ে লন্ডনে পুলিশি বিপাকে প্রিয়াঙ্কা
এক বছরে সোনার দাম বেড়েছে ১৪ বার
বার্টনের মতে, এর মধ্যে অনেকেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে থেকে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান "যুদ্ধ ঘোড়া"-র বংশধর।
সুইজারল্যান্ডের ইকুইন এইডের ভেটেরিনারি টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মুরিয়েল স্যাকস বলেন, "খামারে অসুস্থ প্রাণীদের চিকিত্সা স্থানীয়দের পারিবারিক ব্যবসা এবং প্রাণী কল্যাণে বড় প্রভাব ফেলেছে। "
এই সংস্থায় এখন চারজন পশু চিকিৎসক, চারজন অ্যাসিস্টেন্ট এবং আটজন সাপোটিং স্টাফ রয়েছে। বার্টন ও তার দল বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানকে আরও বড় করতে চান।
news24bd.tv / nakib