বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনে পূর্ণতা পায় স্বাধীনতা

বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনে পূর্ণতা পায় স্বাধীনতা

Other

আজ ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় স্বাধীনতা।

 

স্বাধীন হওয়ার  ২২ দিন পর আন্তর্জাতিক চাপে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। রাওয়াল পিন্ডির শিহালা পুলিশ হাউসের ১ নম্বর কক্ষে তাকি ট্রানজিট কান্ট্রি হিসেবে ইরান যাওয়ার প্রস্তাব করাহয়। বঙ্গবন্ধু এই প্রস্তাব নাকচ করলে তাকে লন্ডন পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। রাজী হন বঙ্গবন্ধু।

 

গভীর রাতে পিআইএ ৬৩৫ ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে পাকিস্তান ছাড়েন বঙ্গবন্ধু। ৮ জানুয়ারী লন্ডন পৌঁছান তিনি। ওঠেন ক্ল্যারিজিস হোটেলে। উৎফুল্ল ও একই সঙ্গে উদ্বিগ্ন বঙ্গবন্ধু দেশের খবর জানতে ফোন করেন স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে। কথা বলেন তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে। এর পরপরই ঢাকায় তাৎক্ষণিক প্রেস কসফারেন্স করে বঙ্গন্ধুর মুক্তির এবং আগমনের সংবাদ দেয়া হয়। শুরু হয় আরেক প্রতীক্ষা।

এদিকে লন্ডনে জনাকীর্ণ প্রেস কনফারেন্সে কথা বলেন বঙ্গবন্ধু। এসময় বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ ছিলেন অবকাশ যাপনে। বঙ্গবন্ধুর লন্ডনে আসার খবরে সব প্রটোকল ভেঙ্গে ছুটে আসেন লন্ডনে তার সঙ্গে দেখা করতে।


আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ


৯ জানুয়ারী বৃটেনের রয়েল এয়ারফোর্সের কমেট বিমানে দিল্লী রওনা হন বঙ্গবন্ধু। ১০ জানুয়ারী সকালে বিমানটি পৌঁছায় দিল্লীর পালাম বিমানবন্দরে। স্বাগত জানান ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিবি গিরি এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধী। দেয়া হয় গার্ড অব অনার। প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু।

ততক্ষণে ঢাকার তেজগাঁ বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দানের পথে জমে গেছে লাখ লাখ মানুষ। অধীর অপেক্ষা প্রত্যেকের, কখন আসবেন জাতির পিতা।

দুপুর ১ টা ৪৫ এ কমেট বিমানটি স্পর্শ করে তেজগাঁ বিমানবন্দরের মাটি। গার্ড অব অনার দেন মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীরা। রেস কোর্স থেকে সন্ধ্যা পৌনে ছটায় বঙ্গবন্ধু পৌঁছান তার পরিবারের কাছে। আর এই ঘরে ফেরার মধ্য দিয়েই সম্পূর্ণ হয় মুক্তির যুদ্ধ।

news24bd.tv আহমেদ