শ্রীবিজয়া এয়ার বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি গতকাল (৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ৭.৩৬ মিনিটে জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের চার মিনিটের মাথায় রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী বলছে, যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে সেই জায়গায় তারা তল্লাশি দল পাঠিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা একটি বিস্ফোরনের শব্দ শুনেছেন এবং কিছু একটা পড়ে যেতে দেখেছেন।
সোলিহিন নামে একজন জেলে বিবিসিকে জানিয়েছেন, "তিনি বিস্ফোরনটি দেখেছেন এবং তার জাহাজের নাবিক দ্রুতই পানি থেকে তীরে উঠে আসার সিদ্ধান্ত নেন। বিমানটি বজ্রপাতের মতো সমুদ্রে পড়ে জলে বিস্ফোরিত হয়েছিল। এটি আমাদের খুব কাছাকাছি ছিল। বিস্ফোরণের ধাক্কায় আমাদের নৌযানটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
বর্নিও দ্বীপের পশ্চিম দিকের শহর পন্টিয়ানাকের আকাশ পথের দূরত্ব সাধারণত ৯০ মিনিট।
জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা এয়ার মার্শাল বাগুস পুুরুহিতোর প্রধানের মতে, বিমানটি কোন সঙ্কটের সংকেত প্রেরণ করেনি। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ ডটকমের তথ্যানুসারে, এক মিনিটেরও কম সময়ে এটি ৩ হাজার মিটার (১০,০০০ ফুট) এরও বেশি নিচে নেমে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণহীন গ্যাং কালচার, রাজধানীতেই অর্ধশতাধিক
বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কাছাকাছি অবস্থিত একটি দ্বীপের বাসিন্দারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষের কিছু জিনিস তারা পেয়েছেন।
এছাড়াও, সোশাল মিডিয়ায় কিছু ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে যেগুলো দেখে নিখোঁজ ঐ বিমানের ধ্বংসাবশেষ বলে মনে হচ্ছে।
বিমানের যাত্রী ছিলো কারা?
১৩০ সিটের বিমানটিতে ৬২ জন যাত্রী ছিলো। এদের মধ্যে ৫০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু ছিলো। যাত্রীদের মধ্যে ৩ জন বাচ্চা এবং ৭ জন শিশুকিশোর ছিলো। তারা প্রত্যেকেই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ছিলো।
যাত্রীদের আত্মীয়স্বজনরা পন্টিয়ানাক বিমানবন্দরের পাশাপাশি জাকার্তার সোয়েকার্নো-হাট্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উদ্ধিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছেন।
"ফ্লাইটে আমার পরিবারের চার সদস্য ছিলেন - আমার স্ত্রী এবং তিন সন্তান। বিমানে উঠেই আমার স্ত্রী তিন সন্তানসহ ছবি তুলে পাঠিয়েছিলো। আমার হৃদয়টা টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে" ইয়ামান জাই নামে এক ব্যক্তি কাদঁতে কাদঁতে সাংবাদিকদের একথা জানান।
news24bd.tv আয়শা