প্যারেন্টিং-এ প্রচলিত ভুল

প্যারেন্টিং-এ প্রচলিত ভুল

Other

প্যারেন্টিং নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা ও চর্চা আমাদের সমাজে ব্যাপক প্রচলিত। বাবা-মার দিক হতে যে ধারণা ও চর্চা গুলো সঠিক নয় তা সন্তাদের জন্য নানা ধরণের খারাপ অভিজ্ঞতার কারণ হতে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে আমাদের সমাজে যুগযুগ ধরে চলে আসা কিছু ব্যাড প্যারেন্টিং কে সন্তান প্রতিপালনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মানা হয়।

এমন কিছু বিষয় হলো
ছোট মানুষের মন খারাপ হয় না! মাইরের উপর ঔষধ নাই।

শিশুদের দ্বারা কাজ আদায় করার জন্য একটু আধটু মিথ্যা বলা যায়। অতিরিক্ত চুপচাপ, সব সময় শান্ত ও লাজুক বাচ্চারাই লক্ষী বাচ্চা! বকা, শাসন ও ভয় দেখিয়ে শিশুদের মাঝে কাঙ্খিত অভ্যাস গড়ে তোলা যায়। বেশী বেশী পড়লে যে কোন শিশুই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারে। অন্যের সাথে তুলনা করলে কোন কাজে শিশুর উৎসাহ ও প্রচেষ্টা বাড়ানো যায়।

ও তো ছোট মানুষ, বুঝে না! বড় হলে তখন আর এমন করবে না!” (বলার মাধ্যেমে খারাপ আচরণ পরিবর্তনের চেষ্টা না করা)। অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য শাস্থি প্রদান করা (কিন্তু কি কারণে শাস্থি দেওয়া হলো, তা ব্যাখ্যা না করা)। বাচ্চারা বেশী কিছু বুঝে না, তাই তাদের সামনে বড়দের গোপন বিষয়ে কথা বলা যায়! সন্তানদের নিজেদের ভেতর শিশুতোষ ঝগড়া ও মনোমালিন্যে মা-বাবার হস্তক্ষেপ করা।

আদর প্রকাশের অংশ হিসেবে শিশুকে বিভিন্ন লাইফ স্কিল (রান্না করা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বাজার করা, টাকা পয়সার হিসাব ইত্যাদি) না শেখানো। সন্তানদের মাঝে কাউকে ভালো সন্তান ও কাউকে দুষ্ট সন্তান হিসেবে চিহ্নিতকরণ। অনুভূতির যথাযথ প্রকাশ না শিখিয়ে অনুভূতির প্রকাশে বাঁধা দেওয়া ও নিরুৎসাহিত করা। ছোটদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় না, কিছু বিষয় তারা তাদের সমবয়সীদের থেকে জেনে নিবে! (যেমন বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন)


আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনে পূর্ণতা পায় স্বাধীনতা


সন্তানের দায়িত্ব হলো মা-বাবার ইচ্ছা পূরণ করা। মা বাবা যে ধরণের চিন্তা ও আচরণ নিয়ে বেড়ে উঠেছে, শিশুর থেকেও অবিকল তাই প্রত্যাশা করা। তোমার ভালো আমি বুঝি (তুমি এখনো নিজের জন্য কোন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম না)। নিজের প্রয়োজন না পূরণ করে সন্তানের শখ পূরনে বেশী মনোযোগ দেওয়া। (প্রয়োজন ও শখের মাঝে পার্থক্য করতে না পারা)

এখানে বেশী তো বলা হয়ই নাই,বরং এই লিস্ট আরো বড় হবে। শিশুদের সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করতে ব্যাড প্যারেন্টিং প্র্যাকটিস সম্পর্কে নিজে সচেতন হওয়া ও অন্যকে সচেতন করা গুরুত্বপূর্ণ! 

কাজী নিশাত আরা, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

news24bd.tv আয়শা