এখন থেকে সরকারি কলা-বাদাম-পাউরুটি পাবে এই বানরগুলো

এখন থেকে সরকারি কলা-বাদাম-পাউরুটি পাবে এই বানরগুলো

Other

মাদারীপুরের চরমুগরিয়া এলাকার বানরগুলো খাদ্যসংকটে ছিল। স্থানীয় লোকজন মাঝেমধ্যে প্রাণীগুলোকে খাবার দিতেন। তবে তা পর্যাপ্ত ছিল না। খাদ্যাভাবে দিন দিন কমে যাচ্ছিল বানরের সংখ্যা।

অবশেষে বানরের জন্য খাদ্য কর্মসূচি চালু করেছে সামাজিক বন বিভাগ।

রোববার বিকেলে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বানরগুলো খাদ্যসংকটে ভুগছে। স্থানীয়ভাবে মাঝে মাঝে এদের খাবার দেওয়া হতো।

এবার সরকারি উদ্যোগে খাদ্য পাচ্ছে এরা। খাবার না পাওয়ায় বানরগুলো অনেক সময় স্থানীয় লোকজনের বাড়িতে ঢুকে খাবার নিয়ে যেত। কারও কারও বাড়ি থেকে ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিয়ে যেত। পরে খাবারের বিনিময়ে তা ফেরত দিত বানরগুলো। নদীকেন্দ্রিক ব্যবসায়িক এলাকা চরমুগরিয়াতে বানরের বসতি বহুকাল আগে থেকেই। বর্তমানে চরমুগরিয়া বাজার ও আশপাশের বানরের সঠিক সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। তবে গত দুই বছরে আশঙ্কাজনক হারে বানরের সংখ্যা কমে গেছে।

জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা তাপস কুমার সেনগুপ্ত বলেন, চরমুগরিয়ার বানরের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় পর্যায়ে দাবি উঠেছিল। খাদ্যসংকট নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এদের জন্য খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসন। এই উদ্যোগ বন্য প্রাণী সংরক্ষণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

বন কর্মকর্তা আরও জানান, ‘কাজল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দ করা ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার এই খাবার চরমুগরিয়া ইকোপার্ক এলাকা, মিলগেট, আড়িয়াল খার শাখা নদীল পাড়ে ঘুরে ঘুরে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বানরদের খাওয়ানো হবে। খাবার প্রতি সপ্তাহে তিনদিন করে মোট ৩৩ দিন চলবে বলে জানান বন কর্মকর্তারা। এরপর আরও ৬০ লাখ টাকার খাবার বরাদ্দের কথাও জানান তিনি। বানরের খাবারের তালিকায় রয়েছে ১২০ কেজি কলা, ২৫ কেজি বাদাম, ১০০ কেজি পাউরুটি।

news24bd.tv

এ ছাড়াও চরমুগরিয়া এলাকা ও ইকোপার্ক এলাকার আশপাশের খালি জায়গায় বানরের খাবারের উপযোগী ফলগাছ রোপণের কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ছাড়াও ফরিদপুর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরাসহ অনেকেই।

news24bd.tv তৌহিদ