গলার কালো দাগ দেখে হত্যা সন্দেহে কবর থেকে তোলা হলো নারীর লাশ

গলার কালো দাগ দেখে হত্যা সন্দেহে কবর থেকে তোলা হলো নারীর লাশ

অনলাইন ডেস্ক

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের মেদিনীমণ্ডল আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু নাছের লিমনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের মরদেহ তোলা হয়েছে।

রোববার (১০ জানুয়ারি)  মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থান হতে মুন্সিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস শিকদারের উপস্থিতিতে পুলিশ কবর হতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এর আগে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে শিক্ষক আবু নাছের লিমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। মামলায় অপর আসামি করা হয়েছে শিক্ষক লিমনের 'পরকীয়া প্রেমিকা' দিলরুবা আক্তারকে।

মামলার পর থেকে শিক্ষক লিমন পলাতক রয়েছে। সে উত্তর মেদিনী মণ্ডল গ্রামের ওহাব খার ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক আবু নাছের লিমনের সঙ্গে প্রায় ১৬-১৭ বছর আগে শ্রীনগরের সমষপুর গ্রামের জয়নাল খার মেয়ে তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আনাছ (১৪) ও আহাদ (৭) নামে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

গত ৫/৬ বছর আগে দিলরুবা আক্তার নামে এক নারীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে লিমন। তাদের এ সম্পর্ক জানাজানি হলে স্ত্রী তাহমিনা বিষয়টি লিমনকে জিজ্ঞাসা করে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মারধরসহ নানাভাবে অত্যাচার করতো লিমন।

মঙ্গলবার চার ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায়

নিজের মেয়ে ইভাঙ্কার সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক?

‘দুজনের সহমতে যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ নয়’

‘যৌন ব্যবসায়’ ‌‌নায়িকারা

গত ২৪ জুলাই শিক্ষক লিমন তার পরকীয়া প্রেমিকা দিলরুবাকে নিয়ে তার বাড়িতে আসে। এ সময় দিলরুবাকে বাড়িতে থেকে চলে যেতে বললে লিমন ও দিলরুবা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তাহমিনার ওপর। এ সময় তারা তাহমিনার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর কাউকে কিছু না জানিয়ে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন লোক নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থানে লাশ দাফন করে। ঘটনার সময় লিমন ও তাহমিনার দুই ছেলে তাদের নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।

এদিকে, স্বজনরা তাহমিনার মৃত্যু সংবাদ জানতে পেরে শিক্ষক লিমনের কাছে মৃত্যুর কারণ জানতে চায়। তিনি কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এজাহারে এও বলা হয় থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে নানা তালবাহানা শুরু করে। তাই আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন নিহত তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের ভাই মো. কামরুজ্জামান খান।

মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৬ এ মামলা দায়ের করে।

লৌহজং থানার ওসি মো. আলমগীর হোসাইন জানান, গত মাসে মামলাটি আদালত থেকে থানায় আসে। ১০ জানুয়ারি একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের মরদেহ কবর হতে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, তাহমিনা আক্তার ঝুমুরকে যে নারীরা দাফন-কাফনের জন্য গোসল করিয়েছেন তারা তার গলায় কালো দাগ দেখতে পেয়েছেন। কৌশলে তারা ওই সময় মোবাইল ফোনে তাহমিনার গলার কালো দাগের ছবি তুলে রাখেন। এ থেকে বিষয়টি হত্যা বলেই মনে করছে বাদীপক্ষের লোকজন।

news24bd.tv তৌহিদ