রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে দেশ হুমকিতে পরবে : পরারাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে দেশ হুমকিতে পরবে : পরারাষ্ট্রমন্ত্রী

Other

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো না গেলে হুমকির মধ্যে পরবে দেশ বলে মন্তব্য করেছেন, পরারাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

সোমবার দুপুর ১২টায় রাঙামাটি মারি স্টেডিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্বোধনকালে গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে পরারাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন ।

তিনি বলেন, একই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারত, চীন, জাপানও। দীর্ঘ দিন রোহিঙ্গারা এ দেশে অবস্থান করলে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত হয়ে গড়তে পারে সন্ত্রাসী গ্রুপ।

আর ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ বিপদ ভয়ে আনবে এদেশে। তখন বাদ যাবেনা মিয়ানমারও। তাই রোহিঙ্গা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন জরুরি। মিয়ানমারের সাথে একাধিক বার আলোচনায় বসতে চায়লেও বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করছে তারা।
কারণ মিয়ানমান মুখে বলেলও, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তররিক নয়।  

বাংলাদেশের মত ভারত চীন জাপান ঐক্যমত পোশন করলেও অন্যান্য দেশকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই এ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে। কারণ রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো বৈশ্বিক সমস্যা। আগামী এ বিষয়ে মিয়ানমারের সাথে বৈঠর রয়েছে। আশা করছি শিগগিরই রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধারণ করা যাবে।  

‘হিট’থেকে বাদের কারণ জানালেন শবনম ফারিয়া

নামাজ পড়া হারাম যে সময়ে

ফিট থাকার সিক্রেট জানালেন সোনাক্ষী

পরারাষ্ট্র  মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন আরও বলেন, আপাতত রোগিঙ্গাদের ভাসানচর স্তান্তর করা হয়েছে। তবে এটা এটা স্থায়ী পূর্ণবাসন না। রোহিঙ্গারা যাতে দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেতে না পারে তার জন্য একাত্রিত করা হয়েছে। তাদের উপর প্রমাসনের নজরদাড়ি থাকবে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সব ধরণের সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে। তবে স্থানান্তর খনিকের জন্য । খুব দ্রুত মিয়ানমারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করা হবে।  

পরে বেলুন উড়িয়ে ৫দিনব্যাপী পার্বত্যাঞ্চল অর্থাৎ রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি। এ অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে তির পার্বত্য জেরা থেকে মোট ৫০জন ও অন্যান্য জেলা থেকে ৫০জন। মোট ১০০জন তরুণ-তরুনী অংশগ্রহণ করেন। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ পর্যন্ত। অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে রয়েছে- কায়াকিং, ক্যানিওনিং, ট্রেকিং ও রেপলিং ও সাংষ্কৃতি অনুষ্ঠান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ৩০৫পদাতিক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইফতেকুর রহমান, রাঙামাটি জেলা প্রমাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ ও জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছছের হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/আলী