প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন অনশন, অবশেষে বিয়ে

প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন অনশন, অবশেষে বিয়ে

Other

বিয়ের দাবিতে চার দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছিলেন কলেজছাত্রী পপি খাতুন। অনড় মনোভাব নিয়ে অনশন করে চলেছিলেন। নানা চাপ সত্ত্বেও তিনি দাবি থেকে সরে আসেননি। নানা নাটকীয়তার মধ্যে অবশেষে সোমবার বিকেলে পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিয়েটি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ঠাকুর লক্ষীকোল গ্রামে। প্রেমিক সাইফুল ওই গ্রামের সিদ্দিক মন্ডলের ছেলে এবং মৃত সোবাহান মন্ডলের প্রেমিকা পপির বাড়ি একই গ্রামের সোনার মোড়ে। বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কলিম উদ্দীন।

দীর্ঘ ২ বছরের প্রেম করার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনমাস তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গাজীপুরে জেলার কামরাঙ্গা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে।

পরে নাটোর আসার পর প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। শুক্রবার থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন।

সাঈদ খোকনের বক্তব্যে ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের’ : মেয়র তাপস

মাঠে টাইগাররা

মাঠে নয় বড় পর্দায় আসছেন ইরফান পাঠান

এর আগে অনশনকারী কলেজছাত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সাইফুলের সঙ্গে তার দুই বছর আগের প্রেম। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ঢাকার গাজীপুরে ভাড়া বাসায় রাখে। তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়।

সম্প্রতি সাইফুল কে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গত শক্রবার সকাল থেকে তিনি বিয়ের দাবিতে সাইফুলের বাড়ির উঠানে অনশন শুরু করেন।

এদিকে প্রেমিকার উপস্থিতির টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান রসিক প্রেমিক সাইফুল। বিভিন্ন স্থানীয় গণমাধমে প্রকাশসহ সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন বিয়ের বিষয়ে মিমাংসা হয়। চারদিন অনশনের পরে প্রেমিক সাইফুল ইসলামকে উপস্থিত হলে দুপক্ষের অভিভাবকরা ৬ লাখ এক টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় উভয় পক্ষের আত্মীয় স্বজন সহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv তৌহিদ