নারীকে বেঁধে নির্যাতন : দুধপানে বঞ্চিত শিশু

নারীকে বেঁধে নির্যাতন : দুধপানে বঞ্চিত শিশু

অনলাইন ডেস্ক

চোর সন্দেহে সন্ধ্যা রানী(৩৫) নামে এক আদিবাসী নারীকে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সন্ধ্যা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা সন্ধ্যা রানীকে বেঁধে রাখা হয় তাকে। এমনকি  সে সময় তার ৬ মাসের শিশু বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধও খেতে দেয়নি।  

ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী এলাকার মালিরচালায়।

নির্যাতিতা একই এলাকার নারায়ন বর্মণের স্ত্রী।  

এ ব্যাপারে রোববার (১০ জানুয়ারি) রাতে নির্যাতিতা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নির্যাতিতা সন্ধ্যা রানীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার ছেলে পলাশ (৮) একই গ্রামের মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার পরিবারের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে প্রায়ই খেলা করত।

ঘটনার ১৫দিন আগে পলাশ মনিরুল ভূঁইয়ার বাড়ি থেকে ঘুড়ি বানানোর জন্য পত্রিকা নিয়ে আসে এবং তার সন্তানদের সঙ্গে ঘুড়ি উড়ায়। হঠাৎ মনিরুলের বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকাসহ মূল্যবান কাগজপত্র চুরি যায়। এ ঘটনার জের ধরে ৩ জানুয়ারি শিশু পলাশকে তারা বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং মালামাল চুরি করে তার মায়ের কাছে জমা দেওয়ার স্বীকারোক্তি আদায় করে।  


প্রত্যেক্ষদর্শী মহানন্দ চন্দ্র বর্মন বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা সন্ধ্যা রানীকে বেঁধে রাখা হয়। পরে আমি দুই বন্ধুর সহযোগিতায় সন্ধ্যা রানীকে উদ্ধার করি। বর্তমানে সে আমার বাড়িতে আছেন।

‘হিট’থেকে বাদের কারণ জানালেন শবনম ফারিয়া

নামাজ পড়া হারাম যে সময়ে

ফিট থাকার সিক্রেট জানালেন সোনাক্ষী

 মামলার বিবরণে আরও বলা হয়েছে, ৯ জানুয়ারি মনিরুলের দুই বোন মোছা. খুকি (৩৭) ও সুমি আক্তার (৩২) সন্ধ্যা রানীর বাড়ি গিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা সন্ধ্যা রানীকে বাড়ির পাশের করিম ভূঁইয়ার আকাশমনি গাছের বাগানে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। এ সময় মনিরুল ভূঁইয়া তার দুই ছেলে মোস্তফা ও দুই বোন মিলে তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

মামলার আসামি মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, আমার ছোট বোনের গহনা চুরি করে সন্ধ্যা রানীর ছেলে পলাশ। সে চুরি করা গহনা তার মায়ের কাছে জমা দেয়। বারবার চাইলেও তারা দেয় না। তাই আমার ছোট বোন সুমি সন্ধ্যা রানীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। আমরা কিছু জানি না।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

news24bd.tv/আলী