খোকনের বিরুদ্ধে মামলায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই : তাপস
মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান

খোকনের বিরুদ্ধে মামলায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই : তাপস

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা দক্ষিনের রাজনীতিতে অনেক দিন পর আবার উত্থাপ ছড়িয়েছে সাবেক মেয়র আর বর্তমানে মেয়রের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের মধ্যে কথার লড়াই গতকাল আদালত পর্যন্ত গড়ায়।   এদিকে  সাঈদ খোকনের নামে দুই মানহানির মামলা দায়েরের পর সেই মামলা দুটো প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস।  

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নগর ভবনে ঘুড়ি উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগত আক্রোশে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের নানা অভিযোগ ও বিরূপ মন্তব্য মানুষের কাছে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে দুটি মামলা হয়েছে, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অতি উৎসাহী হয়েই হয়তো তারা মামলা করেছেন। তাদের করা মামলা আমি প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে সোমবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে ‘মানহানির বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের নামে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। একটি মামলার বাদী কাজী আনিসুর রহমান, অপর মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মো. সারওয়ার আলম।

এদিকে আজ দুটি মামলার আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত। এরপরই মেয়র তাপসের পক্ষ থেকে এ ধরনের আহ্বান আসলো।  

গত শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীতে এক মানববন্ধনে শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে দাবি করেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

আনুশকা হত্যা: দারোয়ানের বর্ণনায় সেদিনের ঘটনা

লিখিত বক্তব্যে সাঈদ খোকন বলেন, দক্ষিণ সিটির বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। মেয়র তাপস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাকে বলব, রাঘব-বোয়ালদের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

সাবেক মেয়র আরও বলেছিলেন, ফজলে নূর তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে হস্তান্তরিত করেছেন এবং এ শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসাবে গ্রহণ করেছেন এবং করছেন।

news24bd.tv/আলী