শামীমের কোনো দোষ নেই : অভিনেত্রী আশার মা

শামীমের কোনো দোষ নেই : অভিনেত্রী আশার মা

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর মিরপুরের টেকনিক্যাল মোড় এলাকায় ট্রাকের চাপায় অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় কে দায়ী, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় আশাকে বহনকারী মোটরসাইকেলটির চালক শামীম আহমেদ ও অজ্ঞাতপরিচয় ট্রাকচালকসহ কয়েকজনকে আসামি করে  সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করা হয়। মামলার প্রধান আসামী শামীম আহমেদকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। কিন্তু এখন নিজেদের অবস্থান বদলে ফেলে আশার পরিবার বলছে, ‘তথ্য বিভ্রাটে শামীমকে আসামি করা হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর মা পারভীন আক্তার বলেন, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে আমাদের মনে হয়েছে, শামীমের এখানে দোষ নেই।

অভিনেত্রী আশার মা পারভীন আক্তার বলেন,আমার মেয়েকে যে রাতে হত্যা করা হয়েছিল তখন আমাদের মনে হয়েছিল এ হত্যাকাণ্ডে শামীম আহমেদ জড়িত। কারণ, সে সময় শামীম আমাদের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারছিলেন না। একেক সময় একেক কথা বলছিলেন।

ফলে আমাদের সন্দেহ জন্মেছিল। কিন্তু পুলিশের উদ্ধার করা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে আমাদের মনে হয়েছে, এখানে শামীমের কোনো দোষ নেই। ট্রাকটি পেছন থেকে ধাক্কা না দিলে আমার মেয়ের কিছু হতো না। শামীম নির্দোষ। মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা করছি আমরা। নির্দোষ ছেলেকে ক্ষতি করে আমার কোনো লাভ নেই।

মৃত্যুর আগে দুই ঘণ্টা কোথায় ছিলেন আশা?

‘গ্রুপ টর্চারে’ মারা গেছে আনুশকা: দাবি পরিবারের

পারভীন আক্তার বলেন, শামীম আহমেদ আমাদের পুরো পরিবারের সঙ্গে অনেকদিন ধরে জড়িত। সে আমার মেয়েকে কখনো নাম ধরে ডাকত না। ওদের সম্পর্ক ছিল ভাই-বোনের মতো। নানা কাজে শামীম আশাকে সহযোগিতা করত।

এ ব্যাপারে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়ের আহমেদ বলেন, অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, আসামিপক্ষের সঙ্গে বাদীপক্ষের সমঝোতা হয়। সেক্ষেত্রে তো পুলিশের কিছু করার থাকে না। তবে মামলা তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু অনাপত্তিপত্র দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর মামলা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে ওই পরিবারের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। আমরা ট্রাকচালককে ধরার চেষ্টা করছি।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জানুয়ারি রাত দেড়টার দিকে টেকনিক্যাল মোড় দিয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে মিরপুরের বাসায় ফিরছিলেন আশা চৌধুরী। সে সময় পেছন থেকে একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরবাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন আশা। এতে তার মাথা থেঁতলে যায়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রায় চার বছর আগে টেলিভিশন নাটকে আশার অভিনয়ে আসা। অভিনয়কেই তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। শিল্পী হিসেবে বিটিভির তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন। চার বোনের মধ্যে আশা ছিলেন সবার বড়। রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজিতে (বিইউবিটি) আইন বিভাগে সপ্তম সেমিস্টারে পড়াশুনা করতেন আশা। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলায়।

 

news24bd.tv/আলী