যশোরে রওশন আলী নামে এক নাপিতকে হত্যা মামলায় ২০ বছর আগে জজ আদালতে যাবজ্জীবন সাজায় দণ্ডিত হওয়া শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন। শফিকুল ইসলামের আপিল গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন একটি আপিল বেঞ্চ বুধবার এ খালাস আদেশ দেন।
যদি শফিকুল কারাগারে থেকে থাকেন তাহলে অবিলম্বে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি এ মামলার গোটা বিচার প্রক্রিয়াকে একটি ‘বিগ মিসটেক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন আদালত।
রায়ের সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আপিলকারী শফিকুলের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আনুশকারকে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে: দাবি পরিবারের
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে যে জবানবন্দি দিল দিহানের বাসার দারোয়ান
কাজল কিনতে গিয়ে কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ জানান, শফিকুল যখন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন- সেখানে তার বয়স লেখা ছিল ১৬ বছর। অভিযোগ গঠনের সময় ছিল ১৬ বা ১৭ বছর।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে কিশোর রওশন আলীকে (১৫) হত্যার দায়ে ২০০০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একই এলাকার কিশোর শফিকুল ইসলামসহ (১৬) তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন জজ আদালত। শফিকুলও পেশায় নাপিত ছিলেন।
দণ্ডিতরা সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ২০০৭ সালের ৭ মে হাইকোর্টেও তাদের সেই সাজা বহাল থাকে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) এবং পরে আপিল করেন শফিকুল। সেই আপিল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় উঠলে তা গ্রহণ করে বুধবার শফিকুলকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। তবে দণ্ডিত বাকি দুই আসামির বিষয়ে কী রায় হয়েছে- তা জানা যায়নি।
news24bd.tv / কামরুল