শৈলকুপায় কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাইকে হত্যা, পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লাশ উদ্ধার

শৈলকুপায় কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাইকে হত্যা, পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লাশ উদ্ধার

Other

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত আলীর ভাই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বল্টুকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার রাত ৮টার দিকে পৌর এলাকার কবিরপুরের ভূইমালী পাড়াতে এই ঘটনা ঘটে। বল্টু ১৩নং উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।

এলাকাবাসীরা জানান, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেন ও তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বল্টু পৌর এলাকার কবিরপুরের ভূইমালী পাড়াতে যান প্রচারণা চালাতে।

এ সময় তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী পাঞ্জাবী মার্কার আলমগীর হোসেন বাবুর সমর্থকরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। হামলায় বল্টুর ভাই কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেনও আহত হন। হামলার পর গুরুতর আহত বল্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।

শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী জানান, নিহত লিয়াকত হোসেন ও তার বড় ভাই কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেন আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী।

তবে দুই প্রার্থীই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজমের সমর্থক বলে জানা গেছে।


আরও পড়ুন: আবারও অভিশংসিত ট্রাম্প


এদিকে এই ঘটনার ৫ ঘন্টা পর রাত  ১ টার দিকে নদীতে পাওয়া গেছে একই ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র কমিশনার প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর মৃতদেহ। নদীর ভেতরে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল তার মৃতদেহটি। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে এই কমিশনার প্রার্থীর তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।   তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহাঙ্গীর আলম।  

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুটি মৃত্যুর ঘটনায় প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে হয়েছে। তারা জানান একটি ঘটনার জেরে আরেকটি ঘটনা ঘটেছে।   এদিকে কমিশনার প্রার্থী আলমগীর হোসেনের সমর্থক ও পরিবার দাবি করছে পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হতে পারে।

পরপর ২টি মৃত্যুর ঘটনায় শৈলকুপা পৌরসভার নাগরিক ও ভোটারদের মাঝে চরম উদ্বেগ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শহরসহ পৌর এলাকার সর্বত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকিং চলছে।

news24bd.tv আহমেদ