ওষুধ ছাড়া ভালো থাকার উপায়

ওষুধ ছাড়া ভালো থাকার উপায়

অনলাইন ডেস্ক

প্রাণখোলা হাসির চেয়ে ভালো কোনো ওষুধ মানুষের জন্য আর নেই। তবে এটা শুধু কথার কথা নয়, বরং যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত কথা। ভালো কৌতুক করা এবং হাসার সামর্থ্য একজন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে হাসির সুফল পাওয়া যায়।

এই ওষুধ একেবারে বিনা মূল্যের এবং অধিকতর কার্যকর। পাশাপাশি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ঝঞ্ঝাটও নেই। হাসি অন্তর আত্মার শান্তি যোগায়। তাই হাসুন প্রাণ খুলে।
 

সুস্থ থাকার জন্য হাসিখুশি আর দুঃশ্চিন্তা মুক্ত জীবনই মূখ্য। সময়মত ঘুমোতে যাওয়া, ক্যাফেইন পরিত্যাগ আর সকালের রোদটিকে উপভোগ- এই কয়েকটি অভ্যাস বদলে দিতে পারে জীবন। যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের ঘুমের অভ্যাসটি বদলে দিয়ে পরিবর্তন করা যায় তার দেহ ঘড়ি বা বডি ক্লক-এর। আর এতে করে বাড়বে তাদের সুস্থতা। প্রত্যেক মানুষের ভেতর একটি জৈব ঘড়ি বা বডি ক্লক কাজ করে যা সূর্যের ছন্দ মেনে চলে। এর কারণেই মানুষের রাতে ঘুম পায়।

নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিতে হবে। খুব সহজ ভাষায় দুঃশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। শুধু এমন চিন্তাই নয়, নেতিবাচক মানুষ এবং আলোচনা থেকেও সরে আসুন। কেননা, আপনার পরিধি নিজেই বুঝবেন, অন্যের কথায় সহজেই প্রভাবিত হওয়ার কিছু নেই। জীবনকে উপভোগ করুন।

নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করে অনেকেই হতাশায় ভোগেন। ভাবতে শুরু করেন যে আমার এটা নেই, এরকম হলে ভাল হত ইত্যাদি। এসব চিন্তা শুধু আপনাকে মানসিকভাবে হতাশায়ই ফেলবে না বরং আপনার ব্যক্তিগত জীবনে কষ্টের মহরা বয়ে আনবে।  

ইতিবাচক থাকবেন যেকোন পরিস্থিতিতে। এটা অনেক বড় গুন একজন মানুষের। সবাই এটা রাখতে পারে না। পজিটিভ চিন্তা ভাবনা আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জীবন হবে সুস্থ সুন্দর একটা বয়ে চলা নদীর মত।  

নিজেকে ভালবাসুন। নিজের প্রতি যত্নবান হোন। নিজের ইতবাচক বিষয়গুলো নিয়ে আরো ভাবুন। সময় দিন নিজেকে। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখাটা খুব জরুরী।  


আরও পড়ুন: কমিটি থেকে স্ত্রী-সন্তানের নাম বাদ দিতে শামীম ওসমানের চিঠি


পরিবারকে সময় দিন। পরিবারের সাথে সময় কাটান। এতে শুধু আপনি নিজেই ভালো থাকবেন না বরং পরিবারের অন্যরাও ভালো থাকবে। পারিবারিক বন্ধন অটুট থাকবে। একটা কথা খুব করে মনে রাখা দরকার যে, আসলে একা ভালো থাকা যায় না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে হয়। কোন বিপদের পড়লে পরিবারই সবার আগে আপনার পাশে এসে দাড়াবে। পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান। ভ্রমণ মানুষের ক্লান্তি দূর করে।

দিন শেষে যখন নীড়ে ফিরবেন, তখন চিন্তা করুন আপনি কতটা সফল। অনেকেই আছেন, ঠিক আপনার জীবনটাই পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্টু থাকুন। তাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।  

ধর্মীয় আচার মানুষকে মানসিক শান্তি দেয়। তাই যার যার ধর্ম মেনে ধর্মীয় আচার পালন করুন।   

অন্যের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। মানসিক শান্তি পাবেন এবং মানুষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠবে। ভালো  ব্যবহার আপনাকে অনেক কিছু না চাইতেই পাইয়ে দিবে।  

পরিমিত সুষম খাবার আপনার শারীরিক ও মানসিক শক্তি যোগাবে। তাই নিয়ম করে খাবার খান। ভালো থাকুন। জীবন সুন্দর। আমাদের এই সুন্দর জীবনকে উপভোগ করতে হবে জীবনেরই নিয়মে।  

news24bd.tv আয়শা