ট্রাম্পের অভিশংসন: এরপর কী?

ট্রাম্পের অভিশংসন: এরপর কী?

অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হয়।

প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হওয়া ট্রাম্পই দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি দুই বার অভিশংসিত হলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্ট অপরাধমূলক কাজে জড়িত হলে তাকে সরানোর উপায় হল অভিশংসন। এখন প্রশ্ন উঠেছে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিনেট থেকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে হোয়াইট হাউস থেকে বিতাড়িত করা হবে কিনা।

১৮৬৮ সালে অ্যান্ড্রু জনসনের অভিশংসনের সময় এই নিয়ম তৈরি করা হয় এবং ১৯৮৬ সালে তা সংশোধন করা হয়।

অভিশংসন দুই ধাপের একটি প্রক্রিয়া। প্রথমে প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদে পাশ হয়। এরপর এটি চূড়ান্তভাবে পাশের জন্য কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেট শুনানিতে যায়।

সিনেটররা এই কার্যক্রম শুরু করার আগে শপথ নেন। প্রধান বিচারপতির এখানে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকে। তিনি যুক্তি ও যুক্তিখণ্ডনের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন। এ সময়ের মধ্যেই হাউস ও ট্রাম্পের অ্যাটর্নিদের পক্ষে সিনেটরদের সমস্ত প্রশ্ন লিখিতভাবে জমা দিতে হবে। পরে তা চিফ জাস্টিসের কাছে পড়ে শোনাতে হবে।

নিম্নকক্ষে ট্রাম্পের অভিশংসন পাশ হলেও উচ্চ কক্ষ সিনেটে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে বেশ কয়েকদিন লেগে যাবে। এরই মধ্যে আগামী ১৯শে জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের চার বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। ফলে সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবেই ট্রাম্পকে অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হবে।

সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য সম্মতি দিলেই ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পাশাপাশি বিচারে সম্ভাব্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের উস্কানিতে তার সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। হামলায় পুলিশসহ পাঁচ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

news24bd.tv / nakib