বাংলাদেশের পলিমাটি নিতে আগ্রহ মালদ্বীপের

বাংলাদেশের পলিমাটি নিতে আগ্রহ মালদ্বীপের

অনলাইন ডেস্ক

ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে পলিমাটি নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।

গত নভেম্বরের শুরুর দিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে ফোন করে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনা করেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লা শহিদ।

সে সময়ে তার পক্ষ থেকে পলিমাটি বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ঢাকায় কর্মকর্তারা বলছেন, মালদ্বীপের অর্থনীতি চাঙ্গা হতে শুরু করেছে মূলত এক দশক ধরে।  ২০১২ সালে দেশটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়। আর মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবার পর সেখানে ব্যাপক অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়েছে।

কিন্তু মালদ্বীপের সাগর থেকে আহরিত বালু দিয়ে নির্মাণ কাজ বা মাটি ভরাটের কাজ করা যায় না।

 ফলে দেশটিকে পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে পলিমাটি ও বালু আমদানি করতে হয়।


ব্রিটিশ তরুণীকে ধর্ষণ : বাংলাদেশির জেল


দুইমাস আগে প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশের সাথে আলোচনা অগ্রসর না হওয়ায়, এক পর্যায়ে ভারতের সাথে একটি চুক্তি করে মালদ্বীপ। পলিমাটি ও বালু নিয়ে ভারতের একটি নীতিমালাও আছে এবং দেশটি মালদ্বীপে রপ্তানির জন্য একটি কোটাও সংরক্ষিত করে রেখেছে।

রিয়ার এডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, "মালদ্বীপ দ্বীপভিত্তিক দেশ এবং সেখানে অনেক দ্বীপের ব্যাপক উন্নয়ন করা হচ্ছে। আর আইল্যান্ড বা দ্বীপ তৈরির জন্যই উপরিভাগে বিপুল পরিমাণ পলিমাটি দিতে হয়। কৃষির জন্যও মালদ্বীপ পলিমাটি ব্যবহার করে। তাই কৃষি ও আইল্যান্ড উন্নয়নের জন্য পলিমাটি যেমন দরকার, তেমনি অবকাঠামো নির্মাণের জন্য তাদের দরকার প্রচুর বালু। বাংলাদেশের সিলেটসহ কয়েকটি এলাকার বালুর মান উন্নত বলে এগুলো নিয়ে তাদের আগ্রহ আছে। "


উন্নয়নের বন্যায় তীব্র খরায় ইস্তাম্বুল, পানিশূন্য হওয়ার আশঙ্কা

তারুণ্য ধরে রাখার কৌশল


বুয়েটের পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মতিন বিবিসি বাংলাকে বলছেন মালদ্বীপে বালু ও পলিমাটি রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো পরিবহন সমস্যা।

তবে মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলছেন তারা আশা করছেন যে এবার দু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সরাসরি জাহাজ চলাচলে একমত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই অগ্রগতি হবে।

news24bd.tv / nakib