আকস্মিক বৃষ্টিতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে সিংড়ার পাচবাড়িয়া এলাকায় জমে থাকা মাটি পিচ্ছিল হয়ে পাঁচ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। শনিবার সকাল ছয়টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত শেরকোল থেকে ডালসড়ক পর্যন্ত যানজটে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ে। এছাড়াও শুক্রবার বিকেলেও একই কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে হাজারো যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই ঘটনার সঙ্গে পুকুর খননকারী ও ইটভাটা মালিকদের দায়ী করছে স্থানীয় প্রশাসন।
হাইওয়ে পুলিশ, সিংড়া উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর দুটা ও শনিবার ভোর পাঁচটায় দুদফা বৃষ্টিতে শেরকোল-পাচবাড়িয়া এলাকায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে জমে থাকা মাটি পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এতে ট্রাক, বাসসহ বেশ কয়েকটি যান পিছলে আটকে পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অন্য যানবাহনগুলোও চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়েই চালকেরা যানবাহন বন্ধ করে সড়কে দাঁড়িয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, শেরকোল-পাচবাড়িয়া এলাকায় কয়েকটি পুকুর ভরাট ও AKC, BSL, FNA, MSP, MBK সহ কয়েকটি ইটভাটার মাটি পরিবহনের সময় সড়কে পড়ে। আর হঠাৎ বৃষ্টিতে সেই জমে থাকা মাটি পিচ্ছিল হয়ে প্রতি বছরই দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এরপর প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রদক্ষেপও নেয় না।
নাটোরগামী ট্রাক চালক আব্দুর রহিম বলেন, ইটভাটার মাটি পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে কয়েক শ' গাড়ি যানজটে আটকে রয়েছে। এই দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, এলাকার সব ইটভাটার মাটিতে রাস্তার এই সমস্যা হয়েছে। সব ভাটার পক্ষ থেকে এখন ডেইলি লেবার দিয়ে রাস্তা ধুয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ কুমার সরকার সড়কে মাটি পিচ্ছিল হয়ে যানবাহন বন্ধ হওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি ঘটনাস্থলেই রয়েছেন। আর বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাসিম/তৌহিদ)