মহামারী মোকাবেলার বৈজ্ঞানিক কর্ম-কৌশলের অংশ এই মডেলিং

শওগাত আলী সাগর

মহামারী মোকাবেলার বৈজ্ঞানিক কর্ম-কৌশলের অংশ এই মডেলিং

Other

‘কোভিডে আগামী ১০দিনে দুই হাজারের বেশি কানাডীয়ানের মৃত্যু ঘটতে পারে!’- এটি কোনো প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলে প্রোপাগান্ডা কিংবা ‘উন্নয়ন বিরোধী’ বিদেশি শক্তির প্রচারণা নয়।  

খোদ কানাডা সরকারের জনস্বাস্থ্য বিভাগ আজ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। জনস্বাস্থ্য বিভাগের ভাষায় যাকে বলা হয় মডেলিং।

যে কোনো মহামারী মোকাবেলায় নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ তাদের কর্ম পরিকল্পনার পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির একটা হিসেব নিকেশ করে।

সেই হিসেব বিবেচনায় নিয়েই তারা কর্মকৌশল প্রণয়ন করে। কোভিডের শুরু থেকেই প্রায় প্রতিটি দেশই নিজেদের মতো করে মডেলিং করেছে, উন্নয়ন সহযোগি বা গবেষণা সংস্থা অন্য দেশ নিয়ে মডেলিং করেছে।  

তবে মডেলিং নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে  অনেক দেশেই সাংবাদিকরা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন, বুদ্ধিজীবীরাও আতংক ছড়িয়েছেন। আর সরকার সেটিকে দেখেছেন ষড়যন্ত্র বা অপপ্রচার হিসেবে।

অথচ এই মডেলিংটা খোদ সরকারকেই করতে হয়। মহামারী মোকাবেলার বৈজ্ঞানিক কর্ম কৌশলের একটা অংশ হচ্ছে এই মডেলিং।

কানাডার নতুন মডেলিং এ আগামী ১০ দিনে ২০০০ লোকের মৃত্যুর  পূর্বাভাষ করা হয়েছে- এই মুহুর্তে নাগরিকরা যে হারে ঘরের বাইরে যাচ্ছেন, বাইরের মানুষের সাথে মেলামেশা করছেন সেটা বিবেচনায় নিয়ে।  

এই বাইরে যাওয়ার বা মেলা মেশার হারটা যদি বেড়ে যায়- তা হলে মৃত্যুর হারটা বাড়তে পারে, বাইরে যাওয়ার, মেলামেশার হারটা যদি কমে যায়- তা হলে মৃত্যুর হার কমে যেতে পারে। নাগরিকদের কি করা উচিৎ-  তার একটা ‘বেটার আন্ডারস্ট্যান্ডিং দেয়ার জন্য এই মডেলিং করা হয়।

কানাডার বেশ কয়েকটি প্রভিন্সেই নতুন করে জরুরী অবস্থা ঘোষনা করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিভাগও বলছে, কানাডা এখনো কোভিডের rapid growth trajectoryতে রয়েছে।  

এটাই ছিলো টিকা উৎপাদক কোম্পানির সুপারিশ

রাত পোহালে নির্বাচন, কে বেশি শক্তি দেখাচ্ছে?

সাফল্যের ‘ফলস ইমপ্রেশন’ দেয়ার চেয়েও বাস্তবতা মেনে  নিয়ে পদক্ষেপ নেয়া যে জরুরী, জনস্বাস্থ্য বিভাগের মডেলিং এবং তাদের বক্তব্যে তার ধারনা পাওয়া যায়।

শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ, কানাডা

news24bd.tv নাজিম