আনুশকার মা কে দিহান : আন্টি আমাকে বাঁচান

আনুশকার মা কে দিহান : আন্টি আমাকে বাঁচান

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফারদিন ইফতেখার দিহানকে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে দিহানের বাসার দারোয়ান দুলালকেও। ওই ঘটনার পর আনুশকাহর মায়ের পা ধরে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল দিহান।  

শুক্রবার সাংবাদিকদের আনুশকাহর মা ওই দিনের ঘটনার বিস্তারিত জানান।

আনুশকাহর মা বলেন, ঘটনার পর আমি কান্নাকাটি করতে করতে হসপিটালে আসি। গেটের মধ্যে ঢুকতেই দিহান আমার পা জড়িয়ে ধরে।   পা জড়িয়ে ধরে বলে, আন্টি আমাকে বাঁচান।  

সেদিন যা ঘটেছিল

আনুশকাহর মা সেদিনের বর্ণনা দিয়ে বলেন

দিহানের সঙ্গে যখন আমার ১টা ১৮ মিনিটে সে আমাকে ফোন করে বলে, আন্টি আমি দিহান।

 
আমি বললাম, দিহান কে?

দিহানের মেয়ে পটানোর প্রধান হাতিয়ার গাড়ি

তখন বলল, আন্টি আমি আনুশকার সাথে ছিলাম।   ও সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে।   আপনি তাড়াতাড়ি আসেন।   আমি আনোয়ার খান মডার্ন হসপিটালে।  
তখন আমি বললাম, ও তো কোচিংয়ে গিয়েছিল। তোমার সঙ্গে কীভাবে গেল?

তখন সে আমার কথার জবাব দেয়নি।  

আমি বললাম, ঠিক আছে, তুমি ওকে ইমার্জেন্সিতে দেখাও। আমি এক্ষুনি আসছি।  

তখন সে বলল, আমরা ফ্রেন্ডরাসহ ইমার্জেন্সিতেই আছি, আমি তখন অফিস থেকে সিএনজি করে রওনা দিই।   

রাস্তার মাঝে অনেকবার তাকে ফোন করেছি, ফোনটা কখনও রিসিভ করে, কখনও বন্ধ পাই।  

পরে অনেক্ষণ পর আবার তার ফোন খোলা পাই।  

তখন জিজ্ঞাসা করি, ইমার্জেন্সিতে দেখাইছো?

তখন সে বলে, জ্বী দেখাইছি। আপনি তাড়াতাড়ি আসেন। ও খুব অসুস্থ।   অবস্থা ভালো না।  

সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত আসার পর আবার ফোন দিলাম।   তখন ও বলছে, আন্টি ও মারা গেছে।  

তখন আমি কান্নাকাটি করতে করতে হসপিটালে আসি। গেটের মধ্যে ঢুকতেই ও আমার পা জড়িয়ে ধরে।   পা জড়িয়ে ধরে বলে, আন্টি আমাকে বাঁচান।   তখন আমি তাকে সরিয়ে দিয়ে ভেতরের দিকে গিয়ে আমার মেয়েকে খুঁজতে থাকি।   তখন আমাকে হাসপাতালের আয়া, নার্স ও অন্য যারা ছিল সবাই এসে আমাকে সান্তনা দিতে থাকে।  

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন এক তরুণ। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। খবর পেয়ে নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান ওই তরুণকে আটকে রাখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।  

এরপর কলাবাগান থানার পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে ওই তরুণকে আটক করে। পরে ওইদিন রাতেই তানভীর ইফতেখার দিহানকে (১৮) আসামি করে ছাত্রীর বাবা আল আমিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ৮ জানুয়ারি দিহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

news24bd.tv / আলী