দিহানের মেয়ে পটানোর প্রধান হাতিয়ার গাড়ি

দিহানের মেয়ে পটানোর প্রধান হাতিয়ার গাড়ি

অনলাইন ডেস্ক

মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নূর আমিন ‘ধর্ষণ’ ও হত্যায় জড়িত ফারদিন ইফতেখার দিহান বেপরোয়া জীবন যাপন করতো বলে জানা গেছে। কেবল তাই নয় তার বড় ভাই সুপ্তও বেপরোয়ার জীবন যাপন করতো। বিশেষ করে নারী সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের আচরণ ছিল বেপরোয়া। তাদের সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার বাবার টাকার দাপটেই তারা শৃঙ্খলার সীমা ছাড়িয়ে যায় অনেক আগেই।

তিন সন্তানের মধ্যে দিহান সবার ছোট। পরিবারের একটু বেশি আদর পেতেন দিহান। যে কারণেই দিন দিন তার বখাটেপনা বেড়েছে।   

মাত্র ১৬ বছর বয়সে দিহানকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে সুজুকি বাইক তিনে দেন বাবা।

এরপরই আবদারের পরিধি বাড়তে থাকে। গাড়ি কিনে দেয়ার বায়না করে বসে দিহান। বাধ্য হয়ে ছেলের পছন্দ অনুযায়ী ২০১৯ সালে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কিনে দেন টয়োটা এক্সিও।  

কলাবাগান এলাকার রাস্তার পাশের দোকানিরা জানান, দিহান যখন গাড়ি নিয়ে বের হতেন। তখন গলি কেঁপে উঠত। নিজের ইচ্ছেমতো বাজাতেন  গাড়ির হর্ন।

আনুশকার মা কে দিহান : আন্টি আমাকে বাঁচান

বাবার অঢেল টাকা। গ্রামের বাড়িতে বিশাল সম্পত্তি। রাজধানী ঢাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাট। তার সঙ্গে ছিল দিহানের দামি একটি গাড়ি।   এসব দেখিয়ে অল্প বয়সী মেয়েদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলত দিহান।    

দিহানের এই প্রলোভনে পড়ে অনেক মেয়েরই সর্বনাশ হয়েছে। সবশেষে রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ফেঁসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।

আনুশকার আগেও একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দিহানের। বাবার অর্থবিত্ত, দামি গাড়ি উপহারসামগ্রী দিয়ে মেয়েদের প্রভাবিত করত দিহান।

কলাবাগানে দিহানের বাসার কেয়ারটেকার মোতালেবের দেয়া তথ্য মতে, বাসা ফাঁকা থাকলে মাঝে মধ্যে দিহান বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে বাসায় আসলেও হত্যা বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে তা তিনি ধারণাও করতে পারেননি। আনুশকা নূর আমিন যেদিন হত্যার শিকার হয় সেদিন মোতালেবের পরিবর্তে কেয়ারটেকার দুলাল দায়িত্ব পালন করছিলেন।

দিহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধেও স্ত্রী হত্যার অভিযোগ এসেছে।  

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন এক তরুণ। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। খবর পেয়ে নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান ওই তরুণকে আটকে রাখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।  

এরপর কলাবাগান থানার পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে ওই তরুণকে আটক করে। পরে ওইদিন রাতেই তানভীর ইফতেখার দিহানকে (১৮) আসামি করে ছাত্রীর বাবা আল আমিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

৮ জানুয়ারি দিহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

news24bd.tv /আলী