প্রাণীর আকৃতি ও আরবি জুমর্ফিক ক্যালিগ্রাফি

প্রাণীর আকৃতি ও আরবি জুমর্ফিক ক্যালিগ্রাফি

Other
ইসলামে শুরু থেকেই মানুষ ও অপরাপর প্রাণীর দেহাবয়ব আঁকা নিষেধ করা হয়েছে। সে কারণে মুসলিম চিত্রশিল্পীরা মূলত আরবি ক্যালিগ্রাফি বা চারুলিপি ও বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশা, ফুল ও প্রাকৃতিক দৃশ্য অংকনেই তাদের সৃজনশীলতা সীমাবদ্ধ রেখেছেন।
news24bd.tv
তবে মানুষ বা প্রাণীর ছবি যে তারা একেবারে আঁকেননি তা নয়। ইতিহাসে এর যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে।
অনেক শিল্পী ও বোদ্ধা, এমনকি অনেক আলেমও মনে করেন, ইসলাম ঢালাওভোবে সব ধরনের ছবি আঁকা নিষেধ করেনি, নিষেধ করেছে, হুবহু প্রকৃতির অনুকরণ করে রক্ত-মাংসের প্রাণীর ত্রিমাত্রিক অবয়ব ফুটিয়ে তোলা; দ্বিমাত্রিক ছবির ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
 
ক্যালিগ্রাফিক শেপের ক্ষেত্রে ইসলামিক গাইডলাইন লঙ্ঘিত হয় না বলেই মনে করা হয়। কারণ এক্ষেত্রে একটি কমপ্যাক্ট প্র্রাণী অবয়ব তৈরি হয় না। অর্থাৎ এটি কোনোভাবেই প্রাণীর ছবি বলে গণ্য হয় না।
news24bd.tv
 
কিন্তু বিষয়টি এখনো বিতর্কিতই থেকে গেছে। অনেকে সুস্পষ্ট অনুমতির অভাবে এটি এড়িয়ে চলাই সমীচীন মনে করেছেন। ক্যালিগ্রাফির ক্ষেত্রে শিল্পীরা আরবি হরফের নমনীয় বৈশিষ্টকে অবলম্বন করে দ্বিমাত্রিক সীমাবদ্ধতার ভেতরেই কোরআন, হাদিস, আরবি প্রবাদ ও কবিতার লাইনকে ব্যবহার করে বিশেষ কোনো প্রাণীর রূপরেখা ফুটিয়ে তুলে এক ধরনের ক্যালিগ্রাফির উদ্ভাবন করেন।
news24bd.tv
 
একে জুমর্ফিক ক্যালিগ্রাফি বলা হয়। এতে যেহেতু প্রাণীর হুবহু অনুকৃতি করা হয় না, সেহেতু এটি ইসলামসম্মত বলেই মনে করা হয়। কিন্তু অনেক গোঁড়া বা রক্ষণশীল মুসলিম এটাকেও জায়েজ মনে করতে দ্বিধা করে থাকেন।
news24bd.tv
 
কিন্তু শিল্পীর উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল মেধা থেমে থাকেনি। শত শত বছর ধরে তারা এ মাধ্যমটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সারা বিশ্বের সুসলিমদের মধ্যে এর বেশ জনপ্রিয়তাও রয়েছে।
news24bd.tv
 
বাংলাদেশেও বিভিন্নস্থানে এ ধরনের ক্যালিগ্রাফি দেখতে পাওয়া যায়। আমি এখানে কয়েকটি প্রতিনিধিত্বশীল ক্যালিগ্রাফির ছবি তুলে দিলাম।
 
হারুন আল নাসিফ, সাংবাদিক, বাসস।
news24bd.tv / আয়শা