‘ভোটার উপস্থিতি বাড়লেও আস্থার মাপকাঠি নয়’

‘ভোটার উপস্থিতি বাড়লেও আস্থার মাপকাঠি নয়’

Other

উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোটার উপস্থিতি, কারচুপির অভিযোগ, বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ, ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় ধাপের ৬০ পৌরসভার ভোট। নির্বাচনের পর ফলাফলকে নিয়ে কিছু জায়গায় হয়েছে সংঘর্ষ-রক্তপাত।

নির্বাচিত হয়েও হত্যার শিকার সিরাজগঞ্জের এক কাউন্সিলর। এমন ভোটকে পুরোপুরি সুষ্ঠু বলতে চান না বিশ্লেষকরা।

ভোটারদের দীর্ঘ লাইনে সন্তোষ প্রকাশ করলেও তাদের মতে এই একটি নির্বাচন ভোটারদের আস্থা ফেরানোর মাপকাঠি হতে পারে না।

দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে এমন লম্বা লাইনে ভোটারদের অপেক্ষা ছিল চোঁখে পড়ার। তীব্র ঠাণ্ডা-কুয়াশা উপেক্ষা করে কেন্দ্রে হাজির হন ভোটাররা। অনেক জায়গায় সুষ্ঠু - শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই হয়েছে ভোটগ্রহণ।

রাজশাহী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, হবিগঞ্জ, গাইবান্ধা, নওগাঁ দিনাজপুরসহ বেশিরভাগ স্থানেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা।

নোয়াখালীর আলোচিত বসুরহাট পৌরসভায় কোন অভিযোগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয় ভোট। ভোটারদের ছিল স্বতফূর্ত অংশগ্রহণ। যাতে নানা বিতর্ক ও জল্পনা কল্পনার ভোটে অবশেষে বিজয়ের হাসি আব্দুল কাদের মির্জার।

এসব স্বস্তির মধ্যে বেশ কিছু পৌরসভা নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির ৬ মেয়র প্রার্থীসহ এক স্বতন্ত্র প্রার্থী।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, সারাদিন ভোটার উপস্থিতি ভাল ছিল। ভোটারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন এটি একটি ভাল দিক।

নির্বাচন বিশ্লেষক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলছেন, ভোটার উপস্থিতি ভাল ছিলো জন্যেই যে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম হয়েছে বা ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে সেটি বলা যায় না।


আরও পড়ুন: এসেছিলেন সংসারের অভাব মেটাতে, ফিরলেন লাশ হয়ে


সবচেয়ে খারাপ খবর-জয়ী হওয়ার পরপরই নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মারা গেছেন সিরাজগঞ্জ সদরের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষ হলেও-গাইবান্ধায় ব্যালট-সরঞ্জাম নিয়ে আসার সময় পুলিশের গাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনা অনেক জায়গায় ঘটেছে। এগুলো তদন্ত করে দেখতে হবে। আর নির্বাচনকে ঘিরে কাউকে হত্যা করা হবে এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়।  

নির্বাচন বিশ্লেষক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলছেন, নির্বাচন কমিশনের উপর যে দায়িত্ব আছে সেটি তারা অতীতেও পালন করতে পারনে নি এবারও পেরেছেন বলে মনে হয় না।

এই দুই বিশ্লেষক বলছেন-ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসছেন, ভোট দিতে পারছেন এটিই বড় বিষয়। তবে-ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। একইসঙ্গে-সহিংসতামুক্ত করতে হবে নির্বাচনকে।

news24bd.tv আহমেদ