অস্বাভাবিক আচরণকারীদের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ

অস্বাভাবিক আচরণকারীদের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ

Other

করোনাকালে দেশে অস্বাভাবিক আচরণের মানুষের সংখ্যা ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ৪০ ভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজী বিভাগ বলছে, কেবল রোগীর সংখ্যা গণনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ এই গবেষনা।

অগোচরেই থেকে যাওয়া প্রকৃত সংখ্যা আরো ব্যাপক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন নীতি প্রনয়নের কোনো বিকল্প নেই।

মানুষের আচরণের স্বাভাবিকতা নষ্ট হয় নানা টানাপোড়নের মধ্যে পাশে কাউকে না পাওয়ায়। মানবসৃষ্ট টানাপোড়নগুলো তৈরি করে, পারিপার্শিক অবস্থা, সমাজ এবং রাষ্ট্র।

দেশের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে করা গবেষনাগুলো শুধুমাত্র চিকিৎসা নিতে আসা এক একটি পরিসংখ্যান। আর সেই সংখ্যার ভিত্তিতে ঠিক করা হয় ডাক্তার, হাসপাতালের বেড আর ঔষধ।

কিন্তু কেন মানসিক অসুস্থতা বাড়ছে, কি হবে তার প্রতিকারমুলক ব্যবস্থা সেটা নিয়ে কোন গবেষনা হয়নি আজ পর্যন্ত।


আরও পড়ুন: ভাঙনের মুখে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র ইউনিয়ন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান জানান, মানুষের আসল সমস্যাটা কোথায়, কি ধরণের সমস্যা সেগুলো আগে দেখতে হবে। তবে প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যর অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে দরকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন নীতি। এবং তাতে করে গোড়াতেই নির্মুল হবে ঝুঁকিপূর্ণ, অস্বাভাবিক মানসিকতার।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট চাহিদার তুলনায় শতকরা একভাগ রোগীকেও সেবা দিতে পারছে না দাবি করে, ড. রহমান বলেন, এই ইনস্টিটিউটকে তার গবেষণার সাথে প্রতিকারমূলক কর্মকাণ্ডও যুক্ত হতে হবে।

news24bd.tv আহমেদ