মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চাশটি রাজ্য এবং কলাম্বিয়াতে একযোগে সতর্কতা জারি। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আগামী মঙ্গলবার ক্ষমতা গ্রহণকে কেন্দ্র করে যেকোন ধরণের সহিংসতা রোধে এই পদক্ষেপ নেয় মার্কিন প্রশাসন।
গত সপ্তাহের মত সহিংসতা যেন পুনরায় না ঘটে সেজন্য জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ওয়াশিংটনে একত্রিত করা হয়েছে।
এফবিআই এরই মধ্যে সতর্ক করেছে যে, ট্রাম্পের সমর্থকরা সশস্ত্র হামলা আবারো করতে পারে।
যাহোক, বাইডেনের দল পরিকল্পনা করে ফেলেছে ট্রাম্পের পলিসির উল্টো জবাব দেওয়ার জন্য।বাইডেন হোয়াইট হাউজে পা রাখার কয়েক ঘন্টা পরেই তাঁর পূর্বসূরি প্রশাসনের অনেক বিতর্কিত বিষয়ে পরিস্কার বিরতি দেবেন। এমনটাই বলাবলি হচ্ছে মার্কিন গণমাধ্যমে।
যেসব পদক্ষেপ নিতে পারেন বাইডেন:
প্যারিস চুক্তিতে আবারো নাম লেখাবেন বাইডেন প্রশাসন।
অনেকগুলো মুসলিম দেশের উপর থেকে ষড়যন্ত্রমূলক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন।
ট্রাম্পের মত বাইডেনও কিছু বিষয়ে কংগ্রেসকে উপেক্ষা করবেন। অভিবাসন নীতিতেও তিনি কংগ্রেসকে উপেক্ষা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটন ডিসির বেশির ভাগ এলাকাতেই লকডাউন আছে মঙ্গলবারের প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাজারো কর্মীকে এরই মধ্যে সেখানে জড়ো করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনের অনেক রাস্তা ৬ জানুয়ারির সহিংসতার পর থেকে বন্ধ আছে। কংক্রিটের দেয়াল ও বেড়া দিয়ে এসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
বহুবিবাহ বন্ধ করতে তালেবান নেতার ডিক্রি জারি
সিক্রেট সার্ভিসের অনুরোধে জাতীয় শপিংমলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। সাধারণত যেখানে প্রেসিডেন্টের অভিষেক উপলক্ষে হাজারো মানুষের ভীড় হয়।
বাইডেনের দল থেকে মার্কিনীদের ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্টের অভিষেক উপলক্ষে ভ্রমণ করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, করোনা মহামারীতে পরিস্তিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন বলেছে দূর থেকেই মানুষের অভিষেক অনুষ্ঠান দেখা উচিৎ।
ট্রাম্প সমর্থকরা আবারো রোববার জড়ো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ এসব বিষয় মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি থেকে অনুবাদকৃত
news24bd.tv আয়শা