বিশ্ব ভ্রমণকারী এক কিউবান: যে কখনোই দেশের বাইরে যাননি

বিশ্ব ভ্রমণকারী এক কিউবান: যে কখনোই দেশের বাইরে যাননি

অনলাইন ডেস্ক

কিউবার সবচেয়ে জনপ্রিয় শহর হচ্ছে হাবানা। কিন্তু, ছোট্ট ত্রিনিদাদ অনেক বেশি আকর্ষনীয়। এর কাঁচা রাস্তা, আঠারো এবং উনিশ শতকের রঙ্গিন কিছু প্যালেস, ৫০০ বছরের পুরনো ইউনেস্কো ঘোষিত মার্বেল খোদাই করা আমেরিকা মহাদেশের সেরা শহর এটি।  

যদি আপনি প্লাজা মেয়রের ঘা-লোহা ল্যাম্পপোস্টগুলি পেরিয়ে বাস স্টেশনটির দিকে যান এবং তাঁর নোটবুকে একটি হুইলরোরো স্ক্রিবলিংয়ের পাশে বসে আছেন এমন একজন ব্যক্তির সন্ধান করেন, আপনি লুইস মার্টিনেজকে খুঁজে পাবেন।

মার্টিনেজ প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি কবিতা লিখেছেন এই শহর নিয়ে। যা বিশ্বে বিরল। মার্টিনেজ এমন ভাবে লিখেছেন, মনে হয় যেন সে নিজ চোখে এর প্রত্যেকটি প্যালেস দেখেছেন। প্যালেসের নিখুঁত বর্ননা করছেন।

 

যদিও, মার্টিনেজ কখনোই কিউবা ছেড়ে যান নি। গত বিশ বছর ধরে তিনি ত্রিনিদাদ বাস স্টেশনে একজন কুলি হিসেবে কাজ করেছেন। দিনের বেলা সে পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং রাতে এটলাস বুকে পৃথিবীকে ঘুরে দেখেছেন।

র্দীঘদিন ধরেই মার্টিনেজের মত কিউবানরাও ভাবতো এই পানির নিচে কি আছে? ১৯৬১ সালের কিউবান বিপ্লবের পরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রো নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিউবান নাগরিকরা ভ্রমণের জন্য দেশের বাইরে যেতে পারেন নি প্রায় ৫০ বছর।  


হোয়াইট হাউজে পা রেখেই ট্রাম্পের নীতি বদলাবেন বাইডেন


ফিদেল ক্যাস্ত্রো মারা যাওয়ার পর তার ছোট ভাই রাউল ক্যাস্ত্রো ক্ষমতায় বসেন। নাগরিকরা দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে ইচ্ছা পোষন করে মত ব্যক্ত করতে থাকেন। এরপরে, তিনি দেশের প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেন ২০১৩ সালে।

মার্টিনেজের মত অনেক কিউবানরা শিশু ছিলো যখন কিউবা অবরুদ্ধ ছিলো। এখন ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা কম মনে হয়, বই পড়ে, ম্যাপ নিয়ে স্ট্যাডি করে দিনকাটে। মাধেমধ্যে তারা জরুরীভিত্তিতে কেউ কেউ আবার ভ্রমণে বের হয় দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে।  

এখন মার্টিনেজের স্বাস্থ্যগত অবস্থা এতটা ভালো নয়। তারপরও, সে লিখে যাচ্ছেন। বিদেশ থেকে আসা নতুন নতুন বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। ত্রিনিদাদেই তিনি বিশ্বকে টেনে আনেন এভাবে।  

সূত্র: বিবিসি থেকে অনুবাদকৃত।

news24bd.tv আয়শা