বহুদিন বহু কষ্টে ঠেকিয়ে রাখার পর আমার পুরোনো অসুখ 'বিষণ্ণতা' আবার ফিরে এসেছে। আজ আর ঘুম আসবে কীনা, কে জানে!
ভাবছি, আমরা মানুষরা মানুষ বেঁচে থাকতে কেন ভালোবাসার কথা প্রকাশ্যে বলতে পারিনা?
কেন মাথায় দুদণ্ড শান্তির, স্নেহের মমতার হাত বুলিয়ে দিতে পারিনা?
কেন দূরত্বের দেয়াল ভেঙে দিয়ে, আত্মসর্বস্বতা আর অহং এর অন্ধকার সরিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে পারিনা?
শুধুমাত্র মরে গেলেই কেন আমরা মানুষকে মূল্যায়ন করি? বেঁচে থাকতে কেন খোঁজ করিনা, একটা কৃতজ্ঞতার কথা, মমতার কথা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা দুকলম লিখে জানাই না?
আরও পড়ুন; ওরা যেন অসাধারণ অমানুষ না হয়
কাশীনাথ স্যারের মৃত্যুতে তাঁর স্মরণে লিখা প্রায় এলিজির মতো পোস্টগুলো পড়ছি, আর ভাবছি- স্যার তো এসবের কিছুই জানলেন না!
ধর্ষণের পর মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া সেই ‘শ্রমিক লীগ নেতার’ জামিন
দূরত্ব আর অস্বস্তির আড়াল পার হয়ে কজনই বা স্যারকে এই শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার কথা বলতে পেরেছি আমরা?
এইসব ভাবনার সাথে সাথে নিজের মৃত্যুর কথাও ভাবি। খুব কৌতূহল হয়, পরিচিতজন, প্রিয়জনরা কে কী বলবে/ কী লিখবে- তা জানতে!
সম্ভব হলে, বেঁচে থাকতেই একটা শোকসভা করে তাঁদের বক্তব্য শুনে ফেলতাম। আফসোস, মরে গেলে ভালো মন্দ কিছুই আর শুনতে পাব না।
কাজী তাহমিনা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। (ফেসবুক থেকে)
news24bd.tv তৌহিদ