মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৫ জন প্রাণ হারানোর পরও, গণতন্ত্র পুণ:প্রতিষ্ঠার দাবি থেকে পিছু হটেনি আন্দোলনকারীরা। শনিবারও দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন তারা। কঠোর অবস্থান নেয় পুলিশও। এদিকে, এবার সেনাসরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন দেশটির কূটনীতিকরা। অন্যদিকে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ জাতিসংঘ দূতের।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের এক মাসেরও বেশি সময় কেটে যাচ্ছে। তবুও বন্ধ হচ্ছে না জান্তা সরকারের দমনপীড়ন। তবে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। চলছে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ। কিন্তু কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না আন্দোলনকারীদের।
শনিবারও অভ্যূত্থান বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সেনাদের ঠেকাতে আন্দোলনকারীরা অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ শুরু করেছে। দক্ষিণ মিয়ানমারের দাওয়া শহরের জনতার আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে দাঙ্গা পুলিশ। তবে এ ঘটনায় আহত বা গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ
আমাকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে: সামিয়া রহমান
লবণ প্রাসাদ ‘পামুক্কালে’
ইসরাইলে কনসার্ট করে দেয়া হল করোনার টিকা
৪ প্রেমিককে নিয়ে পালালো তরুণী, লটারিতে বেছে নিলেন বর
অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই দেশটির কূটনীতিকরা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। এপি জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের মিয়ানমার দূতাবাস সামরিক জান্তার আনুগত্য স্বীকারে অনীহা জানিয়েছে। এক কূটনীতিক এরিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। সেখানকার অন্তত তিন কূটনীতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বলেছেন, তারা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন।
এদিকে, সম্প্রতি ব্যাপক এই হতাহতের ঘটনায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত ক্রিস্টিন শার্নার বার্গেনার।
news24bd.tv / নকিব
মন্তব্য