বিশ-বাইশ বছর বয়স হলো এক্সপ্লোর করার বয়স। চ্যালেঞ্জ নেওয়ার বয়স। নিজেকে পরীক্ষা করার বয়স। তাই দুনিয়ার উন্নত দেশের স্কুলগুলো ছেলে-মেয়েদেরকে তাদের আগ্রহ, মেধা ইত্যাদি এক্সপ্লোর করার সুযোগ দেয়।
স্টকহোম ইউনিভার্সিটিতে যখন পড়া শুরু করলাম, তখন দেখি ক্লাসমেইটরা কেমিস্ট্রির পাশাপাশি কেউ পলিটিক্যাল সাইন্স পড়ছে। কেউ পড়ছে নিউরোসাইন্স। কেউ পড়ছে গ্রীক ল্যাঙ্গুয়েজ। কী অদ্ভুত বিষয়!আমি যখন ব্যাচেলর করি, কেমিস্ট্রির বাইরে অন্য কিছু পড়ার সুযোগ ছিলো না।
ধর্ষণের পর মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া সেই ‘শ্রমিক লীগ নেতার’ জামিন
এসব দেশে যারা কেমেস্ট্রিতে ব্যাচেলর করছে, তারা বায়ােকেমেস্ট্রি, মেডিসিনাল কেমেস্ট্রি, টক্সিকোলজি, জেনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এস্ট্রোকেমেস্ট্রি এমন বহু এরিয়ার কোর্স করে। পরে একটি কোর্সকে মেজর হিসেবে চিহ্নিত করে। ওদের সাথে গল্প করতে গিয়ে টের পাই, আমার দৌঁড় মসজিদ পর্যন্ত—দুই কলম বেসিক কেমেস্ট্রি ছাড়া কিছু জানি না!
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত, আহত ৩
আঠারো বছরে একটি স্টুডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে গিয়েই বলে দিতে পারে না সে ভবিষ্যতে কী পড়তে পছন্দ করবে। তাই তার সামনে অনেকগুলো অপশন রাখতে হয়। চার-পাঁচ বছর সময় নিয়ে সে একটা দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বাকি জীবন সে সেটা ইনজয় করে। আমরা বাংলা পড়তে গিয়ে উপলব্ধি করি, ইকনমিক্সে আগ্রহ ছিলো। কিংবা ডাক্তারি পড়তে গিয়ে উপলব্ধি করি মহাকাশ বিজ্ঞানে আমার নেশা! কিন্তু যে যেটাতে বন্দী হয়ে যায়, সেখান থেকে মুক্তির উপায় থাকে না। জ্ঞানকে আমরা নিয়মের মধ্যে বেঁধে রেখেছি। মেধাকে বেঁধে রেখেছি জিপিএ এবং রেজাল্টের ফ্রেমে।
আমাদের নিয়মটাই হলো চাপিয়ে দেয়া। আমরা পড়া চাপিয়ে দেই। লক্ষ্য চাপিয়ে দেই। কাজ চাপিয়ে দেই। ইচ্ছে চাপিয়ে দেই। জীবনসঙ্গীকেও চাপিয়ে দেই। ভালোবেসে, ভালোলাগার মাধ্যমে, নিজের ইচ্ছেয় কিছু করার সংস্কৃতিটা এখনো চালু হয়নি। আহা জীবন!
……
একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়
news24bd.tv তৌহিদ